ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে অপবাদ, ‘চটি চাটা’ বলে অপমান, পাল্টা জবাবে শ্রীলেখাকে ধুয়ে দিলেন ভরত কল

সম্প্রতি অপা কান্ড নিয়ে বেশ সরগরম চলছে রাজ্য রাজনীতিতে। তার সাথে সাথে এর প্রভাব পড়েছে অভিনয় জগতেও। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবী। অর্পিতার নাম এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জড়ালে রাজ্যের শাসকদলের রাজনীতি এবং অভিনয় জগতের উপরেও আঙুল ওঠে। শাসক গোষ্ঠীর সমর্থকদেরও ছেড়ে কথা বলছেন না নেটিজেনরা। এবারে এই বিষয়ে মুখ খুললেন টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির বিশিষ্ট অভিনেতা আবার শাসক দল তৃণমূলের বহু পুরনো সমর্থক ভরত কল।
সম্প্রতি জন্মদিন গেছে এই অভিনেতার। জন্মদিনের দিনেই এক বিশিষ্ট সংবাদের মুদ্রণ মাধ্যমকে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখেন অভিনেতা। সেখানেই তিনি তার যাবতীয় বক্তব্য ব্যক্ত করেন। ২০০১ সালে অর্থাৎ শাসক দল তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার ১০ বছর আগে থেকে তিনি এর রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত রয়েছেন। সেই সূত্রেই তিনি নিজের কথা স্বীকার করেন সংবাদমাধ্যমে।
এই দীর্ঘ বক্তব্যে অভিনেতা প্রশ্ন তোলেন, “অর্পিতাকে ছোট না করেই বলছি, কত দিন অভিনয় করেছেন? কে চেনেন তাঁকে? আমার ৩০ বছরের অভিনয় জীবন। আমি চিনি না। হয়তো দু-চারটি ছবিতে কাজ করেছেন। বাংলা-ওড়িয়া মিলিয়ে। তাতেই তিনি অভিনেত্রী! সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে কুৎসা শুরু! কেন?”
এছাড়াও প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার বান্ধবীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও তাদের এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলেছেন অনেকে। এবার বাম সমর্থক টলিউডের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রীর নাম না করেই তাকে উদ্দেশ্য করে ভরত কল বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই কেউ নেটমাধ্যমে অনবরত সহ-অভিনেতাদের প্রতি বিষ উগরে দিচ্ছেন! ‘‘এ রকম আরও বহু অভিনেত্রী আছেন। নাম জানি। বলব?”
অভিনেতা তার লেখনীতে আরো লিখেন, “২০০১ সালে তাপস পাল প্রথম বিধায়ক নির্বাচনের টিকিট পেয়েছিল। ওঁর হয়ে প্রথম প্রচারে অংশগ্রহণ। তাপসের হাতে তুলি। আমার হাতে রঙের কৌটো। আমরা দেওয়াল লিখছি! আমি কি সেই প্রচারে টাকা নিয়েছিলাম? কে কী করল। কোপ আমাদের ঘাড়ে।”
যদিও এখানেই শেষ করেননি অভিনেতা। টলিউডের আরো এক বিশিষ্ট অভিনেত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “যত কথা হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন জানালে। একটাই কটূক্তি, ‘চটিচাটার দল’! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চটি কেন চাটতে যাব? দিদি প্রযোজক না পরিচালক! এ দিন আমাদের বলেছেন। এ বার ঋদ্ধি সেনের পিছনে পড়েছেন। তিনি নিজেও তো একই পেশার। তার পরেও আগের-পরের কোনও প্রজন্মকেই ছাড়ছেন না!” ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, “কাক কাকের মাংস খায়!”