সুপারস্টার হয়েও নেই কোনো অহংকার! নিজের হাতে সকলকে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করলেন নুসরাত, কচুয়ায় লোকনাথ বাবার মন্দিরে গিয়ে পুজো দিলেন অভিনেত্রী তথা সাংসদ নুসরাত জাহান

জন্মাষ্টমী দিন সকাল সকাল নেটিজেনদের চমকে দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান। জন্মাষ্টমীর সকালে কচুয়ায় বাবা লোকনাথের মন্দিরে পৌঁছে গেলেন অভিনেত্রী। জন্মাষ্টমীর দিনে বাবা লোকনাথের আবির্ভাব হয়। আর সেই উপলক্ষে কচুয়া ধামে অসংখ্য ভক্ত এর সমাগম হয়। ঐদিন বাবা লোকনাথের কাছে পুজো দিতে হাজার হাজার মানুষ দূর দূর থেকে মাইলের পর মাইল হেঁটে আসেন। আর সেই জন্যই জন্মাষ্টমী দিন মাটিয়া ও কচুয়াতে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।
মন্দিরে সেই দিন নুসরাত বাবার মাথায় জল ঢেলে ধূপ ধুনো দিয়ে পুজো দেন। ঐদিন নুসরাতের পরনে দেখা গিয়েছিল হালকা সবুজ রংয়ের সালোয়ার কামিজ। পুজোর পর মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছবিও তোলেন অভিনেত্রী এবং মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে কথা বলেন। পুজোর পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন নুসরাত সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে তিনি জানান লোকনাথ বাবা সবার মঙ্গল করুক সবাই যেন সুখে শান্তিতে থাকে এটাই কামনা করি। এই দিন পূজোর পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন অভিনেত্রী। এই দিন ১০ লক্ষেরও বেশি কচুয়া ঘামের উপস্থিত হয় বাবা লোকনাথের পূজা দেওয়ার জন্য সবাই যাতে সুষ্ঠু স্বাভাবিকভাবে পুজো দিতে পারে তার জন্য সঠিক সুরক্ষা অবস্থা করার কথা বলেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি এইদিন নুসরাত সকল ভক্তদের নিজের হাতে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করেন।
এটা অবশ্য প্রথমবার নয় এর আগেও নুসরাত জাহান বসিরহাট উত্তরের খোলাপোতা শ্মশান কালী মন্দিরে গিয়ে খিচুড়ি ভোগ রান্নায় হাত লাগিয়েছিলেন।খোলাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাপুর এবং গোবিন্দপুরের সংযোগস্থলে রয়েছে এই আধুনিক শ্মশান। শোনা যায় এলাকার পাঁচ মুসলিম ভাই শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করার জন্য নিজেদের জমি দান করে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছিলেন।
ঐদিন অভিনেত্রী সাংসদ পুজোর উদ্বোধন করে ভোগ রান্নায়ও হাত লাগান। ধর্মের ভেদাভেদ, হের্টস চোখ রাঙানিকে কোনোদিনই পাত্তা দেননি তিনি। নিজেই নিজের ইচ্ছে হাত লাগান ভোগের খিচুড়ি রান্নায়। সে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়েছিল। সকলেই ওই ভিডিও দেখে নুসরাত কে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন।