‘মেঘের পালক চাঁদের নোলক কাগজের খেয়া ভাসছে’- চেনা ছন্দে ফিরে নিজেকে যেনো মেলে ধরেছেন ক্যান্সারজয়ী ঐন্দ্রিলা

“হারবো তবু মানবো না হার হাজার ক্ষতদাগে, আলোর মতো উঠব ফুটে ফুরিয়ে যাওয়ার আগে…..”প্রাণশক্তি! শুনতে নিছক একটি শব্দবন্ধ লাগলেও ততটা সহজ নয়। মানুষ কি না করতে পারে এই প্রাণশক্তির উপর ভর করে। প্রাণশক্তির জোরেই হয়তো ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির সঙ্গে নিজেকে না ভাঙতে দিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করা যায়। শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছাশক্তির ভরেই ‘জিয়নকাঠি’ খ্যাত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা জয় করেছেন মারণ রোগকে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি যখন একদম স্বাভাবিক, জোর কদমে চালাচ্ছেন সিরিয়ালের শুটিং তাঁর শরীরে হঠাৎ করেই ধরা পড়ে মারণ রোগ। আসলে জীবনের এই রকম মোড়ে আসতে হবে এই প্রত্যাশা কেউ রাখেনা।
আরও পড়ুন: ‘আমার মনে হয়, আমি একজন খুব ভালো মা হব’! নিজের সম্পর্কে অকপট মিমি চক্রবর্তী
দীর্ঘ রোগভোগ, কেমোথেরাপি, রেডিয়েশনের মত অসহনীয় যন্ত্রণাকে কাটিয়ে ঐন্দ্রিলা এখন সুস্থ। এই সুখবর জানিয়েছিলেন, তাঁর প্রিয় মানুষ ‘বামদেব’ অর্থাৎ সব্যসাচী চৌধুরী। পরিবারের প্রিয়জন থেকে শুরু করে শুভাকাঙ্ক্ষী সবাই এই লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলার পাশে ছিলেন। লড়াইটা এতটা সহজ মোটেই ছিলনা। কিন্তু নিজের মনের জোর আর প্রিয়জনদের সবসময় পাশে থাকা তাঁকে এই মারণ ব্যাধি থেকে সারিয়ে তুলেছে। সুস্থ হওয়ার পর থেকেই জীবনের চেনা ছন্দে ফিরতে শুরু করেছেন অভিনেত্রী। আস্তে আস্তে করে নিজের ভালোলাগা গুলোকে ফের জীবন্ত করার চেষ্টায় সচেষ্ট হয়ে উঠেছেন। এবার তারই এক ঝলক আমাদের সামনে এসেছে।
ঐন্দ্রিলা যেনো একেবারে নতুন জীবন ফিরে পাওয়ার উচ্ছাসে মাতাল হয়ে রয়েছেন। মুক্তির স্বাদে নিজেকে মেলে ধরেছেন, সবার সামনে, সেই পুরোনো ছন্দে। শ্রেয়া ঘোষালের সেই জনপ্রিয় গান,’ মেঘের পালক চাঁদের নোলক কাগজের খেয়া ভাসছে।’ গানের সাথে মুক্তির নাচ নেচে একেবারে বিভোর যেনো তিনি খোলা আকাশে নিজেকে মেলে ধরার মতোই দেখাচ্ছে তাঁকে। গানের নাচটি পোস্ট করে, ঐন্দ্রিলা লিখেছেন ক্যাপশনে, আমার নিজের ছন্দে ফিরে আসা। সত্যিই তাই। দু দুবার ক্যান্সার জয়ী সাহসী ঐন্দ্রিলা। কখনোই হেরে যাননি জীবনের কাছে। তাইতো নতুন ভাবে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার আনন্দ টাই একেবারে আলাদা তাঁর কাছে, এই নাচের ভঙ্গিমাই যেনো সবটা বলে দিচ্ছে।
অভিনেত্রী কিছুদিন আগে বান্ধবীদের সাথে দোল খেলেছিলেন সেই ছবিও শেয়ার করে নিয়েছিলেন। আবার কনে সাজে ফটোশুট করতে দেখা গিয়েছিল। এইসব কিছু ছোট ছোট দৃশ্যপট যেনো বলে দেয় কতোটা মুক্তির স্বাদে আচ্ছন্ন হয়ে আছেন তিনি।