সিনেমা

টলিউডের কার্তিকের আক্ষেপ ছিল বড়ো পর্দায় কাজ নিয়ে, শেষ জীবনে ছবি ‘ পঞ্চভুজ’ এ অভিনয় করে যেতে পারলেন অভিষেক!

জীবনে অভিনয়কে ভালোবেসে ছেড়েছিলেন প্রিয় ফুটবল! সেই অভিনয় থেকেই তিনি হয়েছিলেন প্রতারণার শিকার। আক্ষেপ করে বলেছিলেন , শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের রিয়্যালিটি শো, অপুর সংসার – এ গিয়ে। সকলের প্রিয় মিঠু দা কে স্বাক্ষর করা ১২ টি ছবি ও স্বাক্ষর না করা আরও ১২ টি ছবি থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই যন্ত্রণা শেষ জীবন পর্যন্ত ভুলতে পারেননি টলিউডের কার্তিক, অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ছোট পর্দার মাধ্যমে শেষে ফের অভিনয়ে ফিরলেও নিজের জীবনে বড়ো পর্দায় কাজ করার ইচ্ছেটা ভেতরে ঠিকই অবদমিত ছিল চিরকাল।

আরও পড়ুন: “বাবা আজ আমার প্রথম দিনের স্কুল, তোমার উপস্থিতি ও আশীর্বাদ প্রয়োজন আমার”- এবার স্কুলে যাওয়ার প্রথম দিনে বাবা অভিষেককে নিয়ে আবেগঘন পোস্ট মেয়ে ডলের

সৃষ্টিকর্তা হয়তো বুঝেছিলেন মানুষটির কষ্ট! পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার কিছুদিন আগে মানুষটি আবার কাজ করেছিলেন তাঁর সেই আকাঙ্ক্ষিত বড়ো পর্দায়। রানা বন্দ্যোপাধ্যায়ের’ পঞ্চভুজ ‘নামক বড়ো পর্দার ছবিতে অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ছিলেন’ রাঘব ‘ নামের মুখ্য চরিত্র। আর অন্যদিকে ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন, সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়, কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌমেন চট্টোপাধ্যায় এর প্রযোজনায় অতি দ্রুত ছবির গান ও পোস্টার মুক্তি পাবে দর্শকদের সামনে। দর্শকদের চোখ জলে ভিজবে ঠিকই কিন্তু মানুষটির বড়ো পর্দায় কাজের সাধ মিটলেও দেখে যেতে পারলেন না ওনার ছবি আবার কতোটা বক্স অফিস হিট করলো।

পরিচালক রানা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে ছবির প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছুটা খোলসা করেছেন যেখানে তিনি বলেছেন, রাঘব অর্থাৎ অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এই ছবিতে পঞ্চভূজ নামক একটি আশ্রমের বাসিন্দা। শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত ওই আশ্রমে তাঁর মতো আরও মানুষেরা থাকেন সাথে কিছু মা বাবাহীন ছেলে মেয়েরাও থাকে। আশ্রমে থাকা সবাই যে যার মতো করে জীবনপথে এগিয়ে যেতে থাকেন। হঠাৎ গল্পের মোড় নেয় রাঘবের জীবনে কিছু ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে। এই নিয়েই গল্পের প্রেক্ষাপট এগিয়েছে।

আরও পড়ুন: “আমি নেইল ফাইল নামে একটি সিনেমা বানাতে যাচ্ছি”- ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সম্পর্কে কৌতুক করে নেটিজেনদের ক্ষোভের মুখে অক্ষয় পত্নী টুইঙ্কেল

বহুদিন পর বড়ো পর্দায় ফিরলেও শারীরিক কিছু সমস্যায় আক্রান্ত ছিলেন মিঠু দা। পরিচালক সে সম্পর্কে জানিয়েছেন, চিত্রনাট্যে নৌকোয় ওঠার কিছু দৃশ্যে অভিনয় কালে বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেতাকে। পায়ে সমস্যা থাকার কারণে তিনি কাজকে ভালোবেসে তিনি সবটাই খুব আনন্দের সাথে করে গিয়েছেন। পরিচালক রানা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বক্ষণ অভিষেককে জড়িয়ে থাকলেও তিনি তখন বোঝেননি ওটাই শেষ জড়িয়ে ধরা। তাই তিনিও ভীষণ আপসোস করেছেন।

অপরাজিতা অপু’র আন্টি নম্বর ১’ সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলা বন্ধ হয়ে এসেছিল অভিনেতা কে গিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগে। তিনি বলেছেন, একসময় অভিষেকের সাথে অভিনয়ের জন্য বাংলা নায়িকারা মুখিয়ে থাকতেন, তিনিও যখন প্রথম শুনেছিলেন খুব খুশি হয়েছিলেন। একসাথে কাজ করতে গিয়ে বুঝেছিলেন, মিঠু দার মতো ভদ্র, বিনয়ী, অমায়িক মানুষ বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম রয়েছে।

সোমা দাবি করেছেন, বাংলা সিনেমা জগৎ নিয়ে মিঠু দার মনের মধ্যে অনেক অভিমান জমা থেকে গিয়েছিল। ছোট পর্দার মাধ্যমে সবার কাছে ভালোবাসা পেলেও এত তাড়াতাড়ি তিনি চলে গেলেন নিজের বড়ো পর্দায় ফিরে আসাটা আর দেখে যেতে পারলেন না!

Related Articles

Back to top button