‘হিন্দু ক্যালেন্ডার দেখেই মঙ্গলে রকেট পাঠিয়েছিল ISRO’! হিন্দুধর্মের সমর্থনে ফের এগিয়ে এলেন মাধবন, ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ছবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আবারও বিতর্কের মুখে পড়লেন অভিনেতা আর মাধবন

আর কিছুদিনের মধ্যেই মুক্তি পেতে চলেছে আর মাধবনের ছবি ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’। মুক্তির তারিখ ঘোষণা করার পর থেকেই মাধবনকে নিয়ে হইচই শুরু হয়ে গেছে নেটিজেনদের মধ্যে। ইসরোর প্রাক্তন রকেট বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণের চর্চিত জীবনকাহিনি অবলম্বনে এই ছবি নির্মাণ করা হয়েছে। এই ছবি আগামীতে পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন মাধবন। এবারে ছবি মুক্তির আগেই ধর্মীয় মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন মাধবন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানে তাকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
সম্প্রতি ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’-এর প্রচারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন মাধবন সেখানেই তিনি বলেন “হিন্দু ক্যালেন্ডার পঞ্চাং-এর সাহায্যেই মঙ্গলগ্রহে মহাকাশযন্ত্র পাঠিয়েছিল ইসরো।” আর অভিনেতার এই মন্তব্য ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে। শুরু হয় সমালোচনা ও ট্রোলিং।
অনেকেই নানান রকমের মন্তব্য করেছেন কারও মন্তব্য, “বিজ্ঞান নিয়ে কথা বলা অত সহজ নয়। না জানাটা ঠিক আছে। কিন্তু তাই বলে আষাঢ়ে গল্প না জুড়ে চুপ থাকাই শ্রেয়।” আবার কারও প্রশ্ন, “এটা কি হোয়াটসঅ্যাপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানতে পারলেন?” কেউ বললেন, “কয়েক মিনিট ধরে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মাধবন যা বলে গেলেন ইসরোর মঙ্গলঅভিযান নিয়ে, তা অত্যন্ত বোকামি বললেও ভুল হবে। এরকম ফালতু কথা বিজ্ঞান অথবা বিজ্ঞানীদের নিয়ে না বলাই ভাল।” এক নেটিজেন তো সপাটে বলেই দিলেন, “মাধবনকে ততক্ষণ-ই ভাল লাগে, যতক্ষণ উনি মুখ না খোলেন।” এই ধরনের মন্তব্য দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।
উল্লেখ্য, ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’ ছবিতে মাধবন কে আমরা নাম্বি নারায়ণের ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখতে পাবো। পাশাপাশি এই সিনেমার হাত ধরেই পরিচালক হিসেবে হাতেখড়ি হলো অভিনেতার। সম্প্রতি কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এই ছবির প্রিমিয়ারেও হাজির ছিলেন মাধবন। এই সিনেমা তৈরির পিছনে তার অকান্ত পরিশ্রমের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন তিনি। তিনি জানান, শাহরুখ, সূর্য কেউই নাকি গেস্ট অ্যাপিয়ারেন্সের জন্য একটাকাও নেননি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৪ সালে ইসরোর রকেট বিজ্ঞানী নাম্বির ওপর মিথ্যা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছিল। দেশের হয়ে কাজ করেও দেশদ্রোহীর মিথ্যে বদনাম জুটেছিল তাঁর কপালে। যার জেরে গ্রেপ্তারও করা হয় তাঁকে। এরপর প্রায় চার বছর বাদে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে মুক্তি দেয়। নাম্বির জীবনের এই চড়াই-উতরাই, সাফল্য-ব্যার্থতার গল্পই এই সিনেমার গল্পে তুলে ধরার চেষ্টা করছে পরিচালক মাধবন। তবে মুক্তির আগেই বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মকে গুলিয়ে ফেলে মন্তব্য করেই বিতর্কে জড়ালেন মাধবন।