হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করার খাতিরে পর্দায় চুমু খেতে রাজি মিমি! তবে কি বলিউডের যাওয়ার জন্যই ভোল বদল অভিনেত্রীর?

টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন হলেন মিমি চক্রবর্তী। সমান হাতে যেমন অভিনয় সামলেছেন তেমনি সামলাচ্ছেন রাজনীতিও। যদিও আজকাল যে কোন সিনেমা দেখতে পাওয়া যায় না অভিনেত্রীকে। সিনেমা বা চরিত্র বাছার ক্ষেত্রে বেশ চুজি হয়ে উঠেছেন অভিনেত্রী। যদিও এবার নিজের অভিনয় দক্ষতার মধ্য দিয়ে টলিউড ছেড়ে বলিউডে পাড়ি দিতে চলেছেন অভিনেত্রী।
পোস্ত ছবির রিমেকে অভিনেত্রীকে দেখতে পাওয়া যাবে। সূত্রের খবর এক জাতীয় স্তরের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে আলি ফজলের সঙ্গে দেখতে পাওয়া যাবে অভিনেত্রীকে। এই নিয়ে যাদবপুরের এই তৃণমূল সংসদকে এক সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। টলিউডের সাথে বলিউডের কাজের ঠিক কি কি বিসদৃশ আছে? এছাড়াও টলিউডের থেকে বলিউডের ঘনিষ্ট দৃশ্য অনেক বেশি। তবে অভিনেত্রী কি তাতে সাবলীল? এই নিয়ে মুখ্য খুলেছেন অভিনেত্রী।
অভিনেত্রী বলেন, “হয়ত মনের মতো চরিত্র পায়নি। আসলে আমি একটু চুজি…. আমি একটা সময় বছর চারটে ছবি করেছি। তখন মনে হত আমি সব করব, কিন্তু এখন মনে হয় আমি সেরা কাজটা করব”। তবে কি পর্দায় চুমু খেতে আপত্তি রয়েছে তাঁর? এক বিশিষ্ট সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিমি জানিয়েছেন, “আমি বরাবরই একটাই মানুষ, আমি পাল্টায়নি, কিন্তু… আমরা অভিনেত্রী।
আমাদের যে পাত্রে ঢেলে দেবে, সেই পাত্রের আকার নেওয়াটা আমাদের কর্তব্য। একটা চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে যদি আমাকে এমন কিছু করতে হয়, তাহলে সেটা সেই চরিত্রটা, সেটা আমি নই। যদি চরিত্রটার সেটা ডিম্যান্ড থাকে তাহলে তখন দেখা যাবে…এমন নয় যে করব না। আমার কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ হল চিত্রনাট্য। স্ক্রিপ্টে যেটা গুরুত্বপূর্ণ হবে সেটা আমার যদি মনে হয় আমি করতে পারব তবেই কাজটা আমি করব”।
অভিনেত্রী আরও জানান, বলিউডে নাকি দিনে তিন থেকে চারটে শট নেওয়া হয়। অন্যদিকে টলিউডে একদিনে ১৩ থেকে ১৪টা দৃশ্য শ্যুট করা হয়। প্রসঙ্গত ঋতুপর্ণ ঘোষের “গানের ওপারে” ধারাবাহিকের হাত ধরে অভিনয় পদার্পণ করেন অভিনেত্রী। তাঁর পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় পাড়ি দেন অভিনেত্রী। বাংলা সিনেমায় দর্শক তাঁকে শেষ দেখেছেন মৈনাক ভৌমিকের পরিচালনায় “মিনি” সিনেমাতে। দর্শক মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে অভিনেত্রীর অরিন্দম শীল পরিচালিত নতুন সিনেমা “খেলা যখন” এর।