সিনেমা

‘কাজের জন্য প্রশংসিত, অভিনয় দক্ষতা থাকার পরেও ভাল কাজ আসেনি বহুদিন’! কাজের জগৎ থেকে ব্যক্তিগত জীবন সবেতেই অকপট সন্দীপ্তা

সন্দীপ্তা সেন, এক সময় টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তবে হঠাৎই একদিন টেলিভিশন থেকে বিরতি নিলেন দীর্ঘদিনের। কিন্তু তারপরেও কোন কাজ করতে দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে। কিন্তু এর কি কারণ সে বিষয়ে কখনো মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। তবে বর্তমানে একটি বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে অকপটে বলেন সমস্ত কিছু।

প্রসঙ্গত অভিনেত্রীর একটি নতুন সিরিজ “বোধন”, এরপরেই সাক্ষাৎকারের সামনে আসেন তিনি। উত্তর দেন এমন অনেক কথা। “বোধন” সিরিজকে বেছে নেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে অভিনেত্রী জানান, “সিরিজের বিষয়টি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। এখানে আমার চরিত্রের নাম রাকা সেন। রাকা একজন অধ্যাপক। তারই এক ছাত্রী ধর্ষিত হবে। সেই মেয়েটির ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইয়ে রাকা তার পাশে থাকবে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার স্পৃহা আছে ওর মধ্যে। চুপ করে না থেকে যে লড়ে যাওয়ার অদম্য জেদটা রাকার চরিত্রের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। তাই এক কথাতেই আমি কাজটি করতে রাজি হয়ে গিয়েছি”।

আবার অভিনেত্রীকে তার ছোট পর্দার কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। এমন বহু অভিনেত্রী আছেন যারা ছোট পর্দাতেও চুটিয়ে কাজ করছেন। তবে সন্দীপ্তা কেন পারলেন না? এ বিষয়ে অভিনেত্রী জানান, “আসলে মনের মতো কোনও চরিত্র পাচ্ছি না। তবে হাল ছাড়িনি। অপেক্ষা করছি। এক দিন নিশ্চয়ই ভালো কাজের প্রস্তাব আসবে। অনেকেই বলেছিলেন, আমি খুব ভালো কাজ করি। তাঁরা আমার সঙ্গে কাজ করতে চান। কিন্তু কেন সেটা হল না জানা নেই। ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত ভালো চরিত্রের অপেক্ষা করতে পারি”।

এছাড়াও দিতিপ্রিয়ার সাথে কাজ প্রায় দশ বছর আগে করেছিলেন অভিনেত্রী। তখন দিতিপ্রিয়া ছোট ছিল। এখন সে এক পরিণত অভিনেত্রী। তার সাথে কি দুর্দান্ত প্রতিযোগিতা চলছে? একটু হেসে অভিনেত্রী বলেন, “একদমই না। আমি মনে করি, আমার সহকর্মীদের অভিনয়ের ছাপ আমার কাজের উপরেও পড়বে। তাই সেখানে রেষারেষির কোনও জায়গা নেই। আর প্রতিযোগিতার কথা ভাবলেই হয়ে গেল!”

এছাড়াও বর্তমান সমাজে নারী সুরক্ষার বিষয়টি কে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু আদেও কি নারীরা ততটা সুরক্ষিত আছে যতটা আমরা মনে করছি? এ প্রশ্নের উত্তর অভিনেত্রী জানান, “আমার মনে হয়, এই ট্রোলিংয়ের যুগে কেউই সুরক্ষিত নয়। তা সে ছেলেই হোক বা মেয়ে। যারা নেটমাধ্যমে এত নোংরা কথা লিখতে পারেন, ধর্ষণের হুমকি দিতে পারেন, বাস্তবেও যে তাঁরা সেটা করবেন না, তা হলফ করে বলা যায় না। আর কিছু না করতে পারলেও এই বিকৃত মানসিকতা আমাদের সকলের পক্ষেই খুব বিপজ্জনক”।

Related Articles

Back to top button