সিনেমা

ভিক্টোরিয়া ওকাম্পোর সাথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের এক গভীর হৃদ্যতার কাহিনী অবলম্বনে পর্দায় আসতে চলেছে, ‘থিঙ্কিং অফ হিম’ ! ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে রবি ঠাকুরের চরিত্রে!

ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো ছিলেন একজন আর্জেন্টিনার লেখিকা। শোনা যায়, এই লেখিকার সাথে আমাদের দেশের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক হৃদ্যতার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সেই গল্পই এবার উঠে আসবে বড়ো পর্দায়। পাবলো সিজার এর পরিচালনায় ছবি, ‘থিঙ্কিং অফ হিম’। তবে কাস্টিং এর ক্ষেত্রে নতুন চমক আনতে চলেছেন পরিচালক পাবলো। আমাদের বাংলা ছবির অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যাবে ছবিতে স্বয়ং রবি ঠাকুরের চরিত্রে। অন্যদিকে তাঁর বিপরীতে ওকাম্পোর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে আর্জেন্টিনার অভিনেত্রী এলিওনোরো ওয়েক্সলারকে। তবে শুধুই ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় নয় ছবিতে আর এক বাঙালি অভিনেত্রীও হাজির থাকবেন, অভিনেত্রী রাইমা সেন।

আরও পড়ুন: বিয়ের ১২ দিনের মাথায় গুডনিউজ শোনালেন আলিয়া! নববধূকে নিয়ে কাপুর পরিবারে খুশির হাওয়া খেলে গেল

থিঙ্কিং অফ হিম’ ছবি রিলিজ করতে চলেছে চলতি মাসের ৬ মে। পরিচালক ছবি বানানোর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন,নব্বই দশকে তাঁর সাথে আমাদের দেশ ভারতের পরিচয় গড়ে উঠেছিল কিন্তু তিনি ভারতের সংস্কৃতির সাথে এত পরিচিত হয়ে উঠতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, এত বৃহৎ দেশ হওয়ার কারণে দেশের মানুষের মধ্যে রীতিনীতি, নিয়ম কানুন সবকিছুর মধ্যেই বৈচিত্র্য বর্তমান। তাই এই ছবি করতে গিয়ে তিনি কিছুটা হলেও সুযোগ পেয়েছেন ভারতের সংস্কৃতির সাথে একাত্ম হতে। আর্জেন্টেনীয় পরিচালক পাবলো জানিয়েছেন, তিনি এই দেশ অর্থাৎ ভারতকে ভালোবাসেন।

ছবিটি তৈরি করার পেছনে মূলত আর্জেন্টিনার নির্মাতারা থাকলেও তাঁদের সাথে ছিলেন ভারতের পরিচালক সূর্য কুমার। ছবির গল্প অবলম্বনে জানা যায়, সালটা ছিল ১৯২৪ , যে সময় রবীন্দ্রনাথ জলপথের সাহায্যে পেরুর উদ্যেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন। আর্জেন্টিনার সীমান্তে জাহাজ থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন রবি ঠাকুর। ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো ছিলেন তাঁর একজন অন্ধ অনুরাগী বলা যায়। কবিগুরুর অসুস্থ হওয়ার খবর তাঁর কাছে পৌঁছে গিয়েছিল। ওকাম্পো ছিলেন রাজধানী বুয়েনস এয়ারেসের অভিজাত সম্ভ্রান্ত একটি পরিবারের মেয়ে। রবি ঠাকুরের, ‘গীতাঞ্জলী’র ফরাসি অনুবাদ পড়ে তিনি একেবারে কবিগুরুর অন্ধ অনুরাগী হয়ে উঠেছিলেন।

আরও পড়ুন: সাদা স্লিভলেস সালোয়ার কামিজে ঈদের দিন ধরা দিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান, ভেদাভেদ ভুলে মানুষ হিসেবে বাঁচার বার্তা দিলেন এইদিন

কবিগুরু অসুস্থ হওয়ার পরেই ওকাম্পো সাথে সাথে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সেবা-শুশ্রুষা করে সারিয়ে তোলেন। সেইসময় তিনি একেবারে নিজে হাতে কবির সেবা করেছেন। ১৯২৫ সালের জানুয়ারি মাসে আর্জেন্টিনা থেকে চলে গিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিন্তু এই মাঝের সময়ের মধ্যেই দুজনের মধ্যে একটি গভীর অন্তরের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অনেকে উভয়ের এই সম্পর্ককে প্রেমের নাম দিলেও অনেকের মতে কেবল বন্ধুত্ব ছিল দুজনের মধ্যে। এবার সেই ঘটনার কথাই দেখা যাবে বড়ো পর্দায়।

Related Articles

Back to top button