কেন ‘আবার বছর কুড়ি পরে’-র সঙ্গে আইনক্সের এত বিরোধিতা আইনক্সের? – মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির পরেও ঠাঁই হলো না বাংলা ছবি, ‘আবার বছর কুড়ি পরে’-র

সম্প্রতি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় বাংলা ছবির উন্নতিসাধন তৎপর হয়ে একটি নির্দেশ জারি করেছেন যেখানে তিনি স্পষ্ট বলেছেন, রাজ্যের আইনক্স, সিনেপলিসের সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবি দেখানো বাধ্যতামূলক করতে হবে। চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তরফ থেকে যেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল ১৯৫৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র আইনের কথা। এই আইন অনুযায়ী, রাজ্যের প্রতিটি হলে বাংলা ছবি দেখাতেই হবে।
এরপরে দেখার বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর চিঠিকে ঠিক কতটা মান্যতা দেওয়া হয়েছে। আসলে চিত্রটা কিছুই বদলায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। সম্প্রতি প্রযোজক সৌম্য সরকার এর’ আবার বছর কুড়ি পরে’ ছবিটি বাণিজ্যিক দিক দিয়ে ভালো ফলাফল করলেও সমস্ত আইনক্স, সিনেপলিস থেকে ছবিটিকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছবির প্রযোজক সৌম্য সরকার।
সৌম্য সরকার এই বিষয়ে তাঁর ক্ষোভ উগরে দিয়ে জানিয়েছেন, ছবিটি মুক্তির প্রথমের দিকে খুব একটা ভালো ফল না করার কারণে কর্তৃপক্ষের তরফে ছবিটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তারপরের সপ্তাহ থেকে ছবিটি ভালো বাজার করতে শুরু করলেও সমস্ত প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ছবিটিকে। সৌম্য সরকার একাধিকবার আইনক্সের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি শেষ পর্যন্ত।
আবার দক্ষিণী সিনেমা আর আর আর মুক্তির পর থেকেই মাত্র একটি করে শো জুটেছে বর্তমানে সমস্ত আইনক্স থেকেই ছবিটিকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে রীতিমতো অমান্য করে এমন আচরণ করায় সৌম্য সরকার বাধ্য হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে টুইট করেছিলেন। তারপর তৎক্ষণাৎ তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে আইনক্সকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল কিন্তু তাতেও কোনো হেলদোল নেই।
তিনি দাবি তুলেছেন, আমাদের নিজেদের রাজ্যে আমরা বাংলা ছবিকে ঠিকভাবে সমর্থন না করলে বাংলা ছবি কোনোমতেই ঠিক জায়গায় দাঁড়াতে পারবে না। তিনি বলেছেন শেষ পর্যন্ত এর সুরাহা না হলে তিনি আইনে পথে পর্যন্ত যেতে রাজি আছেন। আইনক্স কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি পঙ্কজ লাডিয়ার সাথে সৌম্য যোগাযোগ করলেও , সেই উত্তর জানার জন্য একটি সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনো উত্তর দেননি। যদিও তারপরেও তাঁর সাথে যোগাযোগ করা আর সম্ভব হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। এখন দেখার বিষয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর বাংলা ছবির জায়গা হয় নাকি একই ভাবে চলতে থাকে এই অবস্থা!