বলিউড প্রেমীদের চোখে ধরা পড়েছে KGF Chapter ২ এর বড়সড় ৫ টি ভুল! না জানলে আপনিও জেনে নিন!

সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবি KGF ঝড়ে এখন সারা দেশ কাঁপছে। মুক্তি পাওয়ার অনেক আগে থেকেই মানুষের মধ্যে উত্তেজনা বলে দিছিল ঠিক কতটা কাঁপাতে চলেছে এই ছবি। দর্শকরা অনেক আগে থেকেই আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করে ছিল কবে মুক্তি পাবে সেই আশায়। কিন্তু মুভিটি রিলিজের পর ধরা পড়েছে ছবির পাঁচটি মারাত্মক ভুল! দক্ষিনী ছবির দাপটে বলিউড অনেকটাই কোণঠাসা অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে এখন। এই ছবিটি মুক্তির পর থেকেই ভক্তদের মধ্যে প্রবল উচ্ছাস থাকলেও তারা ছবি থেকে পাঁচটি ভুল বের করে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কি কি সেই পাঁচটি ভুল –
আরও পড়ুন: নববর্ষ সেলিব্রেট করলেন শেষ পর্যন্ত মদ খেয়ে! মীরের কান্ড দেখে দর্শকরা রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন
১) ফায়ারিং এর দৃশ্য থানার বাইরে – ছবিতে একটি দৃশ্যে রকি ভাইকে দেখা গিয়েছিল ৫০ গ্রাম সোনার বিস্কুট নিয়ে আসার জন্য থানার বাইরে পৌঁছে যেতে। সেই সময় থানার বাইরে একজন ব্যক্তি বন্দুকের ট্রায়াল নিচ্ছিলেন। সেইসময় গুলি চালানোর জন্য ওই লোকটি বারবার বুলেট বক্স পরিবর্তিত করছিলেন খুব দ্রুত, বারবার খালি কার্তুজ গুলি মাটিতে পড়ছিল তার ফলে কিন্তু একেবারে জন্যও বন্দুকের মধ্যে একটি কার্তুজ কেও ভেতরে যেতে দেখা যায়নি এই দৃশ্যে। তাই দর্শক অবাক হয়েছেন কার্তুজ বন্দুকের ভেতরে না গিয়েই কিভাবে নিচে পড়তে পারে।
২) পুলিশের জিপ হাওয়ায় উড়ে যাওয়ার পরেও ভেতরের গাড়ির জিনিসপত্র সব সাজানো- ছবির একটি দৃশ্যে দেখা যায় রকি ভাইয়ের গুলির ফলে পুলিশের জিপ গুলি হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে। তখন গাড়ির সামনের অংশে একটি কাঠের বেঞ্চ সেটি একেবারে অক্ষত অবস্থায় থেকেছিল। জিপ গুলি ওড়ার সময় থানার ভেতরের অংশে জিনিসপত্র ওলট পালট হয়ে গেলেও থানার পাশের একটি গাছে একটি পাতাও গাছ থেকে ঝরে পড়েনি।
৩) রকেট লঞ্চার থেকে বেরোনো আগুন কোথায় গেলো? – কেজিএফ থেকে বেরিয়ে যাওয়া সোনা বোঝাই গাড়িগুলি যাওয়ার সময় যখন অধিরার গুন্ডারা মিলে একটি ট্রাককে উড়িয়ে দিয়েছিল, রকেটটি লঞ্চার দিয়ে বেরিয়ে আসার সময় তার পেছন দিয়ে আগুনের শিখা বেরিয়ে এসেছিল সেই আগুনের শিখা মুখের কাছে অব্দি যাওয়ার পরে আশেপাশে থাকা মানুষদের কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে তারা এইভাবে দাঁড়িয়ে থাকার পর কিছু হলো না তাহলে কি কোনো সেফটি নিয়ে রেখেছিলেন তারা?
আরও পড়ুন: নববর্ষের শুরুতেই দাদাগিরির মঞ্চ মেতে উঠলো, মঞ্চ মাতাতে হাজির একদল খুদে!
৪) রকিকে গুলি লাগার জায়গায় রিনাকে গুলি কিভাবে লেগেছিল – ছবিতে অধীরা পরপর দুবার রকিকে গুলি মেরেছিল। প্রথমবার একটি পাহাড় থেকে রকিকে বুকে গুলি করেছিল, তখন তাদের দূরত্ব ছিল ১০০ ফুট হবে, তারপরেও বাতাস থাকার সত্ত্বেও গুলি ঠিক জায়গায় লেগেছিল আবার পরের বার যখন দুজনের মধ্যে মাত্র ২০ ফুট দূরত্ব সেসময় গুলি গিয়ে রীনার পেটে লেগেছিল যা অবাক করেছে দর্শকদের। রকি যদি নিশানা হয়েছিল তাহলে এত সামনে থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট হলো কিভাবে।
৫) ছবির শেষে দেখানো হয়েছে রকি ভাই সব সোনা কেজিএফ থেকে বের করে ফেলেছেন। তারপরেই তাঁকে সমুদ্রের মধ্যে একটি জাহাজে দেখানো হয়েছে। কেজিএফে প্রবেশের তিনটি রাস্তার মধ্যে তিন নম্বর রাস্তা হিসেবে একটি টানেল রুট দেখানো হয়েছে। অধীরা এই রাস্তা দিয়ে আসে এবং বাকি দুটি রাস্তা ধারে সেনাবাহিনীরা কেজিএফের দিকে এগিয়ে আসছিল যা দিয়ে সব সোনা বের করা সম্ভব ছিলনা। তাহলে ছবির শেষে রকি ভাই কিভাবে সব সোনা জাহাজে নিয়ে গেলেন? এইসব প্রশ্নের কথা ছবির নির্মাতারাও হয়তো তৈরির সময় ভেবে দেখেননি কিন্তু দর্শকের চোখ এড়াতে পারেনি।