ছবিতে কোন সংলাপ নেই কিরণের অভিযোগ করেছেন দর্শক, “কলকাতা চলন্তিকা”য় প্রথম ডেবিউ করে বড় পর্দায় পা রাখলেন বং গাই! ক্ষুদ্র পরিচালক বললেন এবার থেকে কোনো ইউটিউবার কাজ করতে চাইলে মাতব্বরদের থেকে লিখিয়ে আনলে তবেই নেব নয়তো নয়

বাংলার ইউটিউব জগতের আলোর কিরণ “কিরণ দত্ত”। কিরণ ওরফে বংগাই বর্তমানে বাংলার অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম হয়ে উঠেছে। ইউটিউবে কনটেন্ট ক্রিয়েটারের পাশাপাশি আবির্ভাব করেছিলেন নিজের গায়ক সত্তারও। এছাড়াও বিভিন্ন ব্লগেও ধরা দেন। আবার অভিনয়ও করেছেন ওটিটি প্লাটফর্মেও। এরপরেই করলেন টলিউডের ডেভিউ। পাভেল পরিচালিত “কলকাতার চলন্তিকা” সিনেমার হাত ধরে টলিউডে আসলেন তিনি। কিন্তু কিরণের মুখে শোনা গেলো না কোন সংলাপ।
কয়েক বছর আগে কলকাতার পোস্তা ফ্লাইওভার ফ্লাইওভার ভেঙ্গে পড়ে। সেই দুর্ঘটনা এবং সেই দুর্ঘটনার সাথে জড়িত জনজীবন নিয়ে পর্দায় ধরা দেয় এই সিনেমা। পাভেল পরিচালিত এই সিনেমা মুক্তি পেয়েছে গত ২৫ শে আগস্ট। এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন বাংলার জনপ্রিয় ২ ইউটিউবার কিরণ দত্ত এবং ঝিলম গুপ্তা। আর এর পরেই তৈরি হলো কিরণকে জড়িয়ে নয়া বিতর্ক।
প্রথমবার টলিউডের পা রেখেই সংলাপ হীন অবস্থায় দেখা গেল বংগাই কে। ছবির ট্রেলার দেখে আনন্দে মেতে উঠেছিলেন দর্শক। তবে সংলাপ না থাকায় হতাশাগ্রস্ত হন কিরণ অনুরাগীরা। তবে ছবিতে সম্পূর্ণটাতেই দেখতে পাওয়া যাবে কিরণকে। তবে ছবির প্রমোশন, ট্রেলার লঞ্চ অনুষ্ঠান, গানের লঞ্চ অনুষ্ঠানেও দেখতে পাওয়া যায় তাকে। কিন্তু ছবিতে একই রকম সংলাপহীন কিরণ।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া এ বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কিরণ অনুরাগীরা। আবার অনেকে অভিযোগ করেছেন কিরণের সাথে প্রথম সিনেমাতেই অবিচার করা হলো। এ সমস্ত শুনে চুপ থাকেননি পরিচালক পাভেলও। পাভেল এক প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, “চরিত্র যে কোন সংলাপ নেই তা কিরণ খুব ভালো মতোই জানতেন। এমন না যে তাকে এই কথা লুকিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সবটা জেনেশুনেই অভিনয় করেছেন কিরণ। তাঁর যদি কোনো সমস্যা না থাকে তবে কিছু ‘স্বঘোষিত হামদো যাজক’দের সমস্যা কেন হচ্ছে?” উল্টে প্রশ্ন পাভেলের।
পাশাপাশি পরিচালক জানিয়ে দিয়েছেন, “ভবিষ্যতে কোনো ইউটিউবার কাজ করতে চাইলে ইউটিউবার কমিউনিটির ‘মাতব্বর’দের কাছ থেকে লিখিয়ে আনতে হবে। তবেই কাজ করবেন একসঙ্গে নয়তো নয়।” ইউটিউব এর বাইরেও বেশ ভালই ফ্যান ফলোয়িং রয়েছে কিরণের। যার কারণেই কিরণ কে যে কোন বিনোদন মাধ্যমেই তারা দেখুন না কেন তাদের আলাদাই একটা প্রত্যাশা তৈরি হয়। সেই কারণেই পরিচালক ভালোভাবেই বলেছেন যে তিনি সিনেমার পরিচালক। তাই ছবিতে কেন কিরণকে বারবার ফিরিয়ে আনা হল তা না দেখলে বোঝা যাবে না। এদিন দর্শক কে? পরিচালক জানান তারা সকলে যেন ছবিটি একবার হলেও দেখেন।