সিনেমা

অপরাজিত ছবির ভাবনা মৌলিক নয় চুরি করা! বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের

বাংলা চলচ্চিত্র জগতে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে অনীক দত্ত পরিচালিত ছবি ‘অপরাজিত’। সত্যজিতের চরিত্রে জিতু কমলের অভিনয় তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে। সত্যজিৎ রায়ের প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ কীভাবে নির্মিত হয়েছিল সেই অবলম্বনে তৈরি হয়েছিল এই ছবি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় ছিল সত্যজিৎ রায়ের জীবনী অবলম্বনে তৈরি হওয়া এই ছবি জায়গা পায়নি সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত নন্দনে। এই নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ও কম ছিলনা। ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল ছবির পরিচালক থেকে শুরু করে কলাকুশলীদের মধ্যেও। কিন্তু এই ছবি মুক্তির পর দেখা গেল বাঙালি দর্শকদের হলে ফিরিয়ে এনেছে এই একটি ছবি। সম্প্রতি অপরাজিত ছবিকে নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এমন একটি মন্তব্য করেছেন যা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘সরকার-পুলিস কেউ দায়ী নয়, কেকের মৃত্যু নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে’, বিস্ফোরক মন্তব্য তারকা সংসদ দেবের

শনিবার একটি টুইটে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন অপরাজিত ছবির মৌলিকতা নিয়ে। অপরাজিত ছবির ভাবনা কতটা মৌলিক সেই বিষয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। টুইট করে কুণাল লেখেন,“অপরাজিত ছবিটি কি মৌলিক ভাবনা? 2012 তে নথিভুক্ত পথের পাঁচালী তৈরি ছবিটির শুটিং চলছে। নানা কারণে দেরি। এক থিমে ছবি। জেনে নাকি না জেনে? প্রচারের চাপে আসল টিম কোনটাসা? তাদের ছবির কাজ চলছে। সেই ছবিটিও মুক্তি পাবে। টলিউড থিম কি হাইজ্যাকড হল? তদন্ত হোক।”

আসলে কুণাল বলতে চান ২০১২ সালে ‘বিষয় পথের পাঁচালী’ নামক এক ছবি রেজিস্ট্রেশন করেন প্রসেনজিৎ ঘোষ। কোন কারণে সেই ছবি তৈরি হতে বিলম্ব হচ্ছে। এই প্রসঙ্গ টেনে অনীক দত্তের ছবি কতটা মৌলিক ভাবনার তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কুণাল। এই বিষয় নিয়ে যখন চারিদিকে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে তখন ছবির পরিচালক অনীক দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয় নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তবে মাল্টিপ্লেক্সে রমরমিয়ে অপরাজিত ছবিটি ভীষণ সাফল্যমণ্ডিত ভাবে চললেও নন্দনে ঠাঁই পায়নি কেন এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ।

আরও পড়ুন: মাত্র ১৯১ টাকা দিয়ে বাড়ির মিটারের পাশে লাগান এই ছোট্ট মেশিনটি, অর্ধেক হয়ে যাবে বিদ্যুতের বিল, আপনিও নিজের বাড়ির বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন

সায়নী ঘোষ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন,“এই ঘটনায় খুবই হতাশ। সত্যজিৎ রায় বাঙালির আবেগ। নন্দন মুখী দর্শক যারা অল্প খরচে ভালো বাংলা ছবি দেখতে চান সেখানে দ্রুত এই ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা উচিত। এই ছবি নন্দনে না দেখানো বাংলা দর্শকের প্রতি অবিচার, ছবির প্রতি অবিচার করা হবে‌। এটা নন্দন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে ছবিটাকে হল দেওয়া। নন্দন কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত ও অবিলম্বে অপরাজিত প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা উচিত।” এর সাথে অভিনেত্রী আরো বলেন যে, “এই ছবি এবং হল পাওয়া বিষয়টি রাজনীতির ঊর্ধ্বে। সিপিআইএম, তৃণমূল অনীক দত্তের বিষয় হলে সায়নী ঘোষ যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী হতেন না, না তিনি এই পদ পাওয়ার পর অনীক দত্তের ছবিতে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্রে অভিনয় করতেন। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। এটা নন্দন কর্তৃপক্ষের ভুল সিদ্ধান্ত বলেই আমি মনে করি। এখন একসঙ্গে পাঁচটা ছয়টা বাংলা ছবি মুক্তি পাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। এক্ষেত্রে যে ছবিগুলো আর্ট ঘরানার সে গুলোকে নন্দনের মত হলে আরো বেশি করে প্রদর্শিত করা উচিত বলে মনে করি।”

Related Articles

Back to top button