নন্দনে শো না পেয়েও ইতিহাস তৈরি করলো অপরাজিত! কেজিএফ চ্যাপ্টার ২ কে হারিয়ে কামাল করে দিলেন জিতু

যোগ্য ব্যাক্তি ঠিকই নিজের সঠিক জায়গা দেখিয়ে দেন, যদি যোগ্য ব্যক্তিকে কোন কারণে বঞ্চিত করা হয় তবুও সে তার প্রতিভার জেরে একসময় ঠিকই নিজেকে প্রমাণ করে দেয়, যেমন ভাবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন জিতু কমল। জিতু কমল অভিনীত ‘অপরাজিত’ ছবি নন্দনে জায়গা পায়নি, এমনকি বাংলা চলচ্চিত্রের নামকরা তারকাদের মধ্যে দেব ছাড়া কেউ এই সিনেমা নিয়ে একটি কথাও খরচ করেন নি। তবুও জিতু প্রমাণ করে দিলেন তিনি অপরাজিত! সমস্ত বাধাকে তুচ্ছ প্রমাণ করে দিল তার অভিনীত ছবি! বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এক নতুন ইতিহাস তৈরি করল এই ছবি, সাফল্যের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিলো একাই।
হ্যাঁ সাম্প্রতিককালের একাধিক বাংলা ছবির পাশাপাশি দক্ষিণের ব্লকবাস্টার ছবি গুলোকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ‘অপরাজিত’ র সাফল্য। এই ছবি বর্তমানে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির গৌরব। শুধু হাউসফুলই নয়, দক্ষিণের ব্লকবাস্টার কেজিএফ চ্যাপটার টু এর সাফল্যকেও রেটিংয়ে হারিয়ে দিয়েছে অপরাজিত। এই মুহূর্তে অপরাজিত IMDb রেটিং ৯.৩ আর কেজিএফ চ্যাপটার টু এর IMDb রেটিং ৮.৯।
এখানেই শেষ নয়, একের পর এক মাল্টিপ্লেক্সে শো হাউসফুল হওয়ার খবর আসছে। সেই সকল খবর সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিছেন অপরাজিতর নায়ক জিতু। আনন্দের সঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন শুধু কলকাতা বা শহরতলি নয় সুদূর মুম্বাইতেও হিট হচ্ছে এই ছবি। জুহুর একটি মাল্টিপ্লেক্সের ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেতা, যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, সেখানেও দর্শক টানতে সক্ষম হয়েছে এই ছবি।
প্রবাদপ্রতিম পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জীবনী ভিত্তিক গল্প অপরাজিত। সত্যজিৎ রায় কীভাবে পথের পাঁচালী তৈরি করেন আর কীভাবে তা বাংলা চলচ্চিত্র জগতের ইতিহাস হয়ে ওঠে তাই নিয়েই এই গল্প। পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ১০১ তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে এই ছবিটি তৈরি করেন পরিচালক অনীক দত্ত। এই ছবি দিয়ে তিনি যখন ভীষণভাবে উচ্ছ্বসিত ছিলেন তখনই তিনি জানতে পারেন যে, সত্যজিৎ রায়ের সাথে জড়িত নন্দনেই জায়গা হবে না এই সিনেমার। এই খবরে ভীষণভাবে হতাশ হয়ে পড়েন ছবির পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা পর্যন্ত। কিন্তু তারপর বিভিন্ন দিক থেকে অপরাজিত ছবির জয়জয়কার শোনা যেতে থাকে।
সত্যজিৎ রায়ের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মুম্বাইতে এই ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। সেখানে এই ছবি দেখে পরিচালক শ্যাম বেনেগাল সত্যজিৎ চরিত্রে জিতুর অভিনয়ের প্রশংসা করেন। সন্দীপ রায়ও জিতুর প্রশংসা করেন। প্রসঙ্গত গত ১৩ ই মে সত্যজিৎ রায়ের জীবনী ভিত্তিক এই ছবিটি হলে মুক্তি পাওয়ার সময় খুব অল্প স্ক্রিন পেয়েছিলো, তবে পরবর্তীতে দর্শকদের চাপের মুখে পড়েই কার্যত স্ক্রিন সংখ্যা বাড়তে থাকে ‘অপরাজিত’র।