‘সমসাময়িক সহকর্মীদের কাঠি করেন চিরকাল ‘ – বুম্বাদাকে খোঁচা দিয়ে এমন কথা কেনো বললেন প্রযোজক রানা সরকার

বর্তমানে ইন্টারনেট আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে কোনো কিছুই আর গোপন থাকেনা। সে অভিনেতা অভিনেত্রীদের হাঁড়ির খবর হোক বা কারোর ব্যক্তিজীবনের কেচ্ছা কাহিনী সবই কোনো না কোনোভাবে নেটিজেনদের সামনে চলে আসে। আর সেখানে সম্মান একেবারে ধুলোয় মিশে যাওয়ার জোগাড় হয় অনেক সেলিব্রিটিদের। এসব প্রসঙ্গ টেনে আনার একটাই কারণ হলো , সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি প্রযোজক রানা সরকার , বুম্বাদা অর্থাৎ দর্শকের পছন্দের অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
কিছুদিন পূর্বেই বাংলা সিনেমা জগতের অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণ হয়েছে তারপর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেটিজেনরা প্রসেনজিতের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন ভাবেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে অভিষেকের হারিয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে প্রসেনজিৎ কে দায়ী করা হয়েছে। আর এরপরেই প্রযোজক রানা সরকার খোদ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর কিছু গোপন কার্যকলাপ সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখলেন।
কিছু কিছু প্রসঙ্গ হালকা করে লিখে ছেড়ে দিলেও বেশ বড়সড় বোমা ফাটিয়েছেন তিনি তাই মনে করছেন নেটিজেনরা। পয়লা এপ্রিল সকালে বুম্বা দার একটি সাক্ষাৎকারের অংশ তুলে ধরে তিনি বেশ তোপ দেগেছেন অভিনেতার ওপর। তিনি লিখেছেন, “এপ্রিল ফুল করছেন? নিজের ছবিতে ২৫ লক্ষ টাকা রেমুনারেশন নেন বিনিময়ে ২৫ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি করার গ্যারান্টি দেওয়ার ক্ষমতা আপনার নেই। তার সাথে সাথে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, দিনে ৩০ লিটার জলের বিল পাঠান শুটিংয়ে। এমনকি ব্যক্তিগত লাক্সারি মেকাপ ভ্যানের পয়সাও ছাড়েন না।”
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়াতে আনফলো করে দিয়েছেন পরিচালক রাজা মৌলিকে, গুজব নিয়ে এবার মুখ খুললেন আলিয়া ভাট
দীর্ঘদিন ধরে প্রসেনজিতের বিরুদ্ধে সমসাময়িক সহকর্মীদের পেছনে কাঠি করার যে অভিযোগ উঠে আসছিল তাই নিয়েই এদিন বলেন প্রযোজক রানা সরকার। প্রযোজকদের কিভাবে মুরগি বানানো যায় সেসব রাস্তা নাকি খুব ভালো ভাবেই রপ্ত করে রেখেছে বুম্বা দা। তারপর অবশ্য বাকি সবকিছু সম্পর্কে খুব একটা খোলসা না করলেও বেশ বড়সড় কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি অভিনেতার সম্পর্কে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল, একটি বাংলা ছবির ট্রেলার নিয়ে যেখানে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় মিডিয়ার সামনে হাত জোড় করে অনুরোধ করেছিলেন, দক্ষিণী ছবির মতোই বাংলা ছবিকেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা। নিজেদের অনুরাগীদের প্রতি আর সাথে দর্শকদের অনুরোধ করেছিলেন, বাংলা ছবি দেখার সাথে সাথে ভালো ভালো প্রশংসা করার জন্য আর তা না হলে তাঁর কথা মত ,”আমাদের ইন্ডাস্ট্রি শ্মশান হয়ে যাবে”।
আর এই কথার উপযুক্ত জবাব দিতেই রানা সরকারের এত বড় পোস্ট করা। তিনি ফেসবুকের ওই পোস্টে উত্তর দিয়েছেন, “হঠাৎ শ্মশানের ভয় হচ্ছে আপনার? বাংলা ইন্ডাস্ট্রি শ্মশান হলে ডোম তো আপনিই। আপনি রিটায়ার করুন, দেখবেন ভয় কমে গেছে, এতদিনের পাপের জ্বালায় আপনার ভয় এখন বেশি, বাকিরা কিন্তু লড়ে যাচ্ছেন”। এমনকি প্রসেনজিৎকে একহাত নেওয়ার পর তিনি তাঁর দর্শকদের উদ্যেশ্যে বলেছেন, ” আর মাননীয় দর্শকমন্ডলী, ডায়লগবাজীতে এপ্রিল ফুল হবেন না, দলে দলে বাংলা সিনেমা দেখতে হলে যান। সোহম-প্রিয়াঙ্কা অভিনীত রাজদীপের ঘোষের ছবি “কলকাতার Harry” সুপারহিট করুন”।