সিনেমা

‘পার্টিতে গিয়ে খেতে পারি না, মা বাড়িতে খাবার নিয়ে অপেক্ষা করেন, আমার মাকে ছাড়া একদিনও চলবে না, আর মায়েরও আমায় ছাড়া চলবে না।’- মা ছেলের এক অটুট বন্ধন সামনে এলো শিবপ্রসাদের কথায়

একজন শিশু থেকে বড়ো হয়ে ওঠা জীবনে মায়ের ভূমিকা সর্বাধিক থাকে যিনি সবক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা থেকে শুরু করে অনুশাসন সবেতেই বেঁধে রাখেন। পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁর জীবনের প্রথম পরিচালক ছিলেন তাঁর মা। মায়ের হাত ধরে প্রথম মঞ্চে ওঠা থেকে শুরু করে উচ্চারণ শেখা, আবৃত্তি শেখা সবটাই মায়ের হাত ধরে বেড়ে ওঠা তাঁর। জীবনে মায়ের থেকে শিক্ষা নিয়েই আজ সাফল্যের মুখ দেখা। বলতে গেল, বাংলা ছবির ক্ষেত্রে একজন প্রথমের দিকের পরিচালক বলাই চলে তাঁকে। তবে আজও মায়ের সাথে সেই অটুট বন্ধন রয়েছে। মা আজও খাবার নিয়ে বসে অপেক্ষা করে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত। শিবপ্রসাদ সমস্ত পার্টি থেকে না খেয়েই বাড়ি ফিরে যান।

আরও পড়ুন: বস্তিতে থাকতেন আদানি! মাত্র ৩০০ টাকা বেতনে হিন্দ্র ব্রাদার্সে কাজ শুরু করেছিলেন! আজ বিশ্বের পঞ্চম এবং ভারতের প্রথম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানি

একেবারে শিশুবেলা থেকে পরিচালকের সবেতেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন মা। পরিচালক মায়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘মায়ের কাছে প্রচুর মার খেয়েছি। একই জিনিস বারে বারে অভ্যাস করাতেন মা। আমি ‘বজ্র’ কথাটা উচ্চারণ করতে পারতাম না। সেটা মা শিখিয়েছিলেন। আমি ভীষণ দুষ্টু ছিলাম। পড়াশোনা করতাম না একেবারেই। সারাক্ষণ খেলা। সেসময়ে মায়ের বকুনি খেয়েছি, মারও খেয়েছি প্রচুর। তবে আজও আমার, আমাদের প্রত্যেক ছবির কোথাও না কোথাও মা লুকিয়ে রয়েছেন।

এখনও আমি বাইরে গেলে মা খাবেন না, ঘুমোবেন না। সবাই জানেন, আমি কোনও পার্টিতে গিয়ে খেতে পারি না। কারণ আমি বাড়ি ফিরে না খেতে আমার মা খাবেন না। আমি যদি মুম্বই যাই, তাহলে বোধহয় মা খাওয়া দাওয়াই ছেড়ে দেবেন। এখনও মা আমার অভিনয়ের সবচেয়ে বড় সমালোচক আবার প্রেরণাদাত্রী। মাকে অবশ্য একথা মুখ ফুটে বলা হয় নি কখনও।’

আরও পড়ুন: এবার কি তবে সৌরভ গাঙ্গুলি রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন? ডোনার মন্তব্য যেনো সেই সম্ভাবনাকেই উসকে দিয়েছে অনুরাগীদের মনে

শিবপ্রসাদের ঝগড়া করার একমাত্র সঙ্গী সেই মা। মায়ের সাথে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে তবে তা করার যথেষ্ট কারণ অবশ্য থাকে। মা ঠিক সময়ে না খাওয়া দাওয়া করা নিয়ে, খবরের কাগজ ঠিক ভাবে গুছিয়ে না রাখা নিয়ে চলতেই থাকে মায়ের সাথে বিবাদ। শেষে পরিচালক সংযোজন করেছেন, তারপরেও তাঁর মাকে ছাড়া চলবে না আর মায়ের তাঁকে ছাড়া। কথার মধ্যে এক অবিচ্ছেদ্য টান স্পষ্ট।

Related Articles

Back to top button