আমি এখনও সোহমের থেকে অভিনয় শিখি, বলছেন দেব! ‘কলকাতার হ্যারি’ বসে রয়েছে টিনটিন-এর পাশে! দেব দর্শকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন ‘কলকাতার হ্যারি’ দেখার জন্য

চলতি বছরের শুরু থেকেই একটার পর একটা বাংলা ছবি রিলিজ করতে শুরু করেছে। যতই গুজব রটুক যে বাংলা ছবির একেবারে কোণঠাসা দশা কিন্তু একসাথে বেশ কয়েকটি ছবির রিলিজ কিন্তু মোটেই সেই বার্তা দিচ্ছে না। সোহম চক্রবর্তী, প্রিয়ঙ্কা সরকার অভিনীত এবং রাজদীপ ঘোষ পরিচালনায় ছবি, ‘কলকাতার হ্যারি’ মুক্তি পেয়েছে। সম্প্রতি মুক্তি পেলো দেব ও রুক্মিণী অভিনীত ছবি, মিষ্টি প্রেমের গল্পের, কিশমিশ। কিন্তু কোনো প্রতিযোগিতা নয়। বাংলা ছবির জগতে একের ওপরের পাশে থাকার মতো নজির সৃষ্টি করলেন এই অভিনেতারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঠিক এমনই একটি অসাধারণ বার্তা দিলেন দেব।
কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে সোহম জানিয়েছিলেন, বাংলা ছবির পাশে থাকার দিন তার বদলে মোটেই লড়াই, প্রতিযোগিতার দিন নয়।।এমনকি তিনি কিশমিশ এর মুক্তির জন্য নিজের ছবির প্রচার একদিন পিছিয়ে পর্যন্ত দিয়েছিলেন বলেই জানিয়েছিলেন। আর একটি বাংলা ছবি , মিনি এই একই দিনে মুক্তি পেয়েছে যেখানে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। মাসি , বোনঝির এক দারুণ সম্পর্ক দেখানো হয়েছে ছবিতে। সোহম দর্শকের একান্ত ভাবে অনুরোধ করে জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোয় যেমন ঘোরার দিন ভাগ করে নেন, তেমনই ছবি দেখার দিনও ভাগ করে নিন। শনিবার ‘কলকাতার হ্যারি’ দেখলে রবিবার ‘মিনি’ দেখুন।
সোহম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন যেখানে কিশমিশ এর নায়ক দেব সোহমের পাশে বসে রয়েছেন। দেব দর্শকদের কাছে আবেদন জানাচ্ছেন ‘কলকাতার হ্যারি’ দেখার। সেই সঙ্গে সোহমের অভিনয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, ‘ তিনি এখনও সোহমের থেকে অভিনয় শেখেন।’ সঙ্গে সঙ্গে সোহমও পাল্টা দর্শকদের আবেদন করেন ‘কিশমিশ’ দেখার। দুই অভিনেতার বন্ধুত্তে ফের একই সুর, বাংলা ছবিকে সমর্থনের সুর। একইভাবে দুজনেই অনুরোধ জানিয়েছেন, বাংলা ছবি দেখার জন্য , কোনো প্রতিযোগিতা নয় বরং সমঝোতার সুর।
আরও পড়ুন: বাদাম কাকুর স্বপ্ন পূরণ হলো অবশেষে! আনন্দে আত্মহারা ভুবন কাকু
তাঁদের দুজনের অভিমত একই, যেখানে কেউই চান না প্রতিযোগিতা করে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যেতে যেখানে একটি ছবি আর একটি ছবির জন্য ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে। ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে দুজন দুজনের পাশে থাকাকেই তাঁরা বিশ্বাস করে চলেন। ছবি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের হলেও সবাই সবাইকে সাহায্য করে পাশে থাকতে হবে তবেই ভবিষ্যতে বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রি আরও উন্নতির শিখরে উঠবে।