ছবিতে নাকি অসংখ্য তথ্য বিকৃতি ঘটেছে, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনীচিত্র ‘অভিযান’ নিয়ে শুরু বিতর্ক

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বহু আগে থেকেই টের পেয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবনীচিত্র ‘অভিযান’ জনপ্রিয়তা পাবে বিপুল পরিমাণে। কিন্তু পরিচালকের মতে, পরবর্তীকালে ছবি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়। ছবিতে বহু তথ্যের বিকৃতি ঘটেছিল। অভিনেতার পরিবারের তরফ থেকে সেই বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বক্তব্য স্থান পেয়েছে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয় শ্রমণা ঘোষের মত অনুযায়ী, ছবিতে এমন কিছু তথ্য দেখানো হয়েছে যা একেবারেই ভুল। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এ দেখানো হয়েছে রণদীপের চিকিৎসা করানোর জন্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কে প্রচুর ছবি করতে হয়েছিল যে তথ্য শ্রমনা একেবারে ভুল বলে দাবি করেছেন।
অভিনেতার আত্মীয়া দাবি করেছেন, পরিচালকের থেকে এমন তথ্য বিকৃতি মোটেই তারা আশা করেননি। সৌমিত্র-কন্যা পৌলমী বসু শ্রমণার পোস্টকে সমর্থন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শ্রমনাকে। তিনি দাবি করেছেন, তিনি নিজেও জানেন না যে কেনো তাঁর বাবা এমন ভুল দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, তাঁর বাবা হয়তো বাস্তব আর কল্পনার মধ্যে পার্থক্য বুঝে উঠতে পারেননি। তাঁর সাথে সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিজের মন্তব্য ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাই বাড়তি করে তিনি আর কিছুই জানাতে চাননি। তাই তিনি একই বিষয় অতিরিক্ত জলঘোলা হোক তা মোটেই চাননা।
বছর দুয়েক পরে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে ‘অভিযান’। তারপরেও যদিও দর্শক মহলে বিতর্ক উঠেছে। তবে পরমব্রতর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানিয়েছেন,” আমার বক্তব্য দু’টি। যে চিত্রনাট্য অনুসরণ করে ছবিটি তৈরি হয়েছে, সেটি সৌমিত্র জেঠু তো বটেই পৌলমীদিও পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানতেন। শুধু তাই নয়, উনি নিজে নাটকের কিছু অংশের দৃশ্যে সাহায্য করেছেন। তখন ওঁর কিছু মনে হয়নি। এখন কেন মনে হচ্ছে, সত্যিই জানি।” যে সময় ছবি নির্মিত হয়েছিল সেইসময় পৌলমী এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় দুজনেই জানতেন এই বিষয় নিয়ে কিন্তু তখন কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি কিন্তু হঠাৎ এখন মন্তব্য করেছেন।
ছবিটি হলে দেখে বেশ খুশি পরিচালক সাথে তিনি জনিয়েছেন, দর্শকরাও খুশি হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সাহায্যের সেই ছবি ধরা পড়েছে। কেউ কেউ প্রত্যক্ষ ভাবে জানিয়েছেন তাঁদের মতামত কেউ আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নিয়েছেন নিজেদের মতামত। তবে এই ছবি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কে কিছুটা হলেও আবার বুঝতে সাহায্যে করেছে বলাই যায়।