সিনেমা

তাকে নিয়ে ট্রোল করে উপরি রোজগার করার মানে তিনিই রোজগার করতে সাহায্য করছেন তাদের, ট্রোলারদের বিরুদ্ধে সপাট জবাব শ্রাবন্তীর

বাংলা চলচ্চিত্র জগতে রোমান্টিক ধারার ছবি প্রচুর থাকলেও ভুতুড়ে ভয় জাগানো শিহরণ তোলা ছবির অভাব রয়েছে। শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী অভিনীত ‘ভয় পেও না’ ছবি সেই শিহরণ জাগাতেই আসছে। সদ্য মুক্তি হয়েছে এই ছবি, যা আর পাঁচটা ছবির থেকে একদম ভিন্ন। রোমান্টিক ঘরানার ছবির বাইরে ভুতুড়ে আবহাওয়া‌ই এই ছবির গল্প। ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় দেখা যাবে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় কে আর নায়কের ভূমিকায় দেখা যাবে ওম সাহানিকে।

আরও পড়ুন: টাকা দিয়ে হচ্ছে রিয়েলিটি শো, বাংলা ছবির মাথামুণ্ডু নেই, বলিউডে সব লবিবাজি! একটার পর একটা বিস্ফোরক মন্তব্য কুমার শানুর

ছবি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে বলতে শুরু করলেন অভিনেত্রী। শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী এমনই একটি নাম যার জীবন ভীষণভাবে বিতর্কিত হয়, ব্যক্তিগত জীবনে কারো সাথে সম্পর্কে জড়ালেও শুরু হয় সমালোচনা, তার বিবাহিত সম্পর্ক ভাঙলে ও শুরু হয় কুৎসিত ট্রোল। প্রথম প্রথম এই সবে কষ্ট হলেও এখন সেসব‌ই গা সওয়া হয়ে গেছে তার। ট্রোলারদের সফ্ট টার্গেট যে তার জীবন তা অভিনেত্রী মেনে নিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে এই দিন এই সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেন,“ কিছু মানুষের কোন কাজ নেই তারাই এইসব লেখেন। বাড়িতে মা-বোন রয়েছেন তাও একজন মহিলা সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করতে তাদের বাধে না। এমনকি এখন মেয়েরাও মেয়েদের কটুক্তি করে”

তাকে নিয়ে যতই নেতিবাচক আলোচনা হোক তিনি এসবে পাত্তা দেন না এখন আর, তিনি নিজের জীবন নিজের মত করে উপভোগ করতেই বিশ্বাসী। ইতিবাচক চিন্তা ভাবনার মধ্যে নিজেকে রাখতে চান শ্রাবন্তী, তাকে নিয়ে কুৎসিত ট্রোল করলেও অভিনেত্রী মনে করেন, কেউ যদি ট্রোল করে উপরি রোজগার করে তাহলে কোন ভাবে তারাই সেই রোজগারটা বাড়াতে সাহায্য করছেন।

আরও পড়ুন: নুসরত দশভূজা! একা হাতে শাড়ি সামলে মা কালীর ভোগের খিচুড়ি রাঁধা নুসরত‌ কেই দুর্গার তকমা দিলেন অনুরাগীরা

এইসবের পাশাপাশি অভিনেত্রীর বিশ্বাস, একদিন না একদিন ঠিক এই ট্রোলিং বন্ধ হবে। শ্রাবন্তী জানান যে অয়ন দত্ত পরিচালিত এই ছবির গল্প শুনেই তার পছন্দ হয়ে যায় এবং তিনি রাজি হয়ে যান এতে কাজ করতে। শ্রাবন্তীর চরিত্রের নাম অনন্যা, শ্রাবন্তীর স্বামীর চরিত্রে কাজ করছেন ওম সাহানি, তার নাম আকাশ চ্যাটার্জি।

ট্রেলারে দেখা যাচ্ছে, অনন্যা তার গল্পটি বলছে। বিয়ের পর প্রথম আকাশের বাড়িতে পা রেখেছে, প্রথম প্রথম সব ঠিকই ছিল কিন্তু তারপর হঠাৎ অনন্যা বুঝতে পারে যে সেই বাড়িতে তার ঘরের পাশে আরো কেউ আছে, কেউ তার পা টেনে নিয়ে চলে যায়, কেউ আবার তার গলা টিপে ধরে। গা ছমছম ভুতুড়ে পরিবেশের মধ্যেই আকাশের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি কঙ্কাল! কীভাবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে থেকে মুক্তি পাবেন অনন্যা? কে করবে তাকে সাহায্য? আকাশকে কী সে বিশ্বাস করাতে পারবে তার সাথে কী ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত? সবথেকে বড় রহস্যগুলো চ্যাটার্জী বাড়িতে আসলে কী রয়েছে- জানতে হলে অবশ্যই দেখতে হবে ‘ভয় পেও না’।

Related Articles

Back to top button