তারে জমিন পর’-এর সাফল্যের পরেও কোনো কাজ পাননি! অবসাদে ভুগছেন পর্দার’ ঈশান অবস্তি’

মনে আছে নাকি সেই জনপ্রিয় ছবি তারে জমিন পর’-এর দাঁত উঁচু, অবহেলায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়া ছেলেটিকে? হ্যাঁ , ঠিকই ধরেছেন, নিকুম্ভ স্যারের শিক্ষায় যে ঈশান গুছিয়ে ফেলেছিল নিজের জীবন। জীবনের পাঠ শেখা হয়েছিল তার , সেই ঈশান অবস্তির কথাই বলা হচ্ছে। তবে ভাবছেন তো হঠাৎ এতদিন পর এই ছবির প্রসঙ্গ কেনো টেনে নিয়ে আসা হচ্ছে, প্রাসঙ্গিকতা কি? রয়েছে প্রাসঙ্গিকতা। সেই বিখ্যাত ঈশান অবস্তি আজ ভুগছে মানসিক অবসাদে। তারে জমিন পর ছবি সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত একই ভাবে দর্শকের কাছে সমান আবেগের একটি ছবি হিসেবেই রয়ে গিয়েছে। ছবি এত বিপুল সাফল্যের পরেও কাজ পাননি ঈশান অবস্তি অর্থাৎ বাস্তব জীবনের দর্শিল।
ছবিটি করার পর দর্শিল ভেবেছিল এরপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হবেনা। কিন্তু বাস্তবে সেই ঘটনা ঘটেনি আদৌ। উলটে মানসিক অবসাদে ভুগতে হচ্ছে দর্শিল কে। আগের বছরে ২৫ এ পা দিয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো রকম কোনো ভালো কাজের সুযোগ এসে পৌঁছায়নি তার কাছে। এত প্রতিভাবান হয়ে তার ওপর ছবির বিপুল সাফল্যের পরে ভেবেই নিয়েছিলেন প্রথম সারির নায়কদের তালিকায় চলে আসতে পারবেন কিন্তু তা সত্যি হয়নি। দর্শিল এই সম্পর্কে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আমির খানের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন তাঁর বাবা কিন্তু তিনি পেশাগত জীবন নিয়ে নানা পরামর্শ দিলেও দর্শিল পায়নি কোনো কাজের অফার।
দর্শিল আক্ষেপ করে জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির আগের সময়ে সমস্ত কিছু অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। অনেক পরিচালকের সাথে তাঁর কাজের নিয়ে কথা এগিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘ দু বছরে করোনা পরিস্থিতির কারণে সব ভেস্তে গিয়েছে। দীর্ঘদিন এই কর্মহীন হয়ে থাকায় রীতিমতো অবসাদে ভুগতে শুরু করেছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মা বাবা থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজনরা সবাই সান্ত্বনা দেয় তাঁকে বোঝায় কিন্তু জানিয়েছেন, “আমার জুতোয় পা গলায়নি কেউ। তাই আমার সমস্যাটা কেউ বুঝতে পারছে না।’’ দর্শিলের ইচ্ছা আলি খান, জাহ্নবী কপূরের সাথে এক পর্দায় কাজ করার। সে আজও আশাবাদী একদিন তাঁর ঠিক সুদিন আসবে , যেদিন তাঁর স্বপ্ন সফল হবে।