“ফেলুদা বানিয়েছি নিজের জন্য! দর্শকদের যদি ভালোলাগে সেটা উপরি পাওনা” বললেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়

ফেলুদা মানেই বাঙালির আবেগ! এমনিতেই গোয়েন্দা গল্প মানেই বেশিরভাগ বাঙালি তার ভক্ত হয়ে ওঠেন আর তা যদি হয় ফেলুদা তাহলে তো আর কথাই নেই। ফেলুদাকে নিয়ে বাঙালির মধ্যে সবসময় এক অনন্য অনুভুতি কাজ করে। ঠিক এমনই ব্যক্তিগত ভালো লাগা থেকেই পরিচালক সৃজিত মুখার্জি ওয়েব সিরিজে ফেলুদাকে নিয়ে আসেন। তার কথায় কোন প্রতিযোগিতা করে নয়, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত ভালো লাগা থেকেই ফেলুদা তৈরি করা আর তা যদি দর্শকের ভালো লেগে যায় তাহলে সেটাকে উপরিপাওনা বলা চলে।
আরও পড়ুন: সলমনকে জনসমক্ষে চুমু খেলেন শেহনাজ! অভিনেত্রীর আচরণ নিয়ে সন্দিহান নেটাগরিকরা!
আগামী জুন মাসে ‘হইচই’তে ‘ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি’ মুক্তি পাচ্ছে। এই ওয়েব সিরিজ সম্পর্কে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পরিচালক বলেন, “ফেলুদার শ্যুটিং করার সময় কোন নেতিবাচক মানসিকতা আমায় স্পর্শ করে না। সে শ্যুটিং হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া। কারণ ফেলুদা শুটিং করার সময় আমার পাশে সেই ১০ বছরের ছেলেটা বসে থাকে যে ভবানীপুরের বইয়ের দোকান থেকে পাতলা পাতলা বইগুলো কিনে আনত। নতুন বইয়ের গন্ধের সঙ্গে মিশে থাকতো ফেলুদার এডভেঞ্চারের গন্ধ, তার বাবার স্মৃতি। সেই সব স্মৃতি যেন তাকে বড় আগলে রাখে সমস্ত খারাপ কিছুর থেকে। সব মিলিয়ে একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা, অতুলনীয়। তখন মনে হয় পৃথিবীতে আর কিছু নেই কেবল ফেলুদাই সত্য।”
টলিউড থেকে বলিউডে দাপটের সঙ্গে কাজ করা জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় অন্যান্য ছবির শুটিংয়ের তুলনায় তাই ফেলুদা করার সময় সবথেকে বেশি খুশি এবং আনন্দ অনুভব করেন অন্তরে। কিন্তু বাঙালির চিরকালীন আবেগ ফেলুদাকে পর্দায় তুলে ধরা কতটা গুরুদায়িত্বের সেই প্রসঙ্গে কথা উঠলে পরিচালক বলেন, “দায়িত্বের কথা আমি মাথাতেই রাখি না। সত্যি বলতে ফেলুদা আমি নিজের জন্য বানায় সেটা যদি মানুষের ভালো লাগে সেটা উপরিপাওনা। কারণ ফেলুদা আমার ছোট থেকে বড় হওয়া, film-maker হয়ে ওঠার হাত ধরেছে। ফেলুদা আমার ব্যক্তিগত উদযাপন, আমার মাথায় প্রতিযোগিতা আরও ভাল করব এসব কাজই করে না।”
আরও পড়ুন: মা বাবার মতো মেয়েও নেচে বেড়াবে! মায়ের অভিনয়ের জন্য অনামিকা সাহার মেয়েকেও কথা শুনতে হয়েছে
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ফেলুদা চরিত্রে কাজ করছেন টোটা রায়চৌধুরী, এ প্রসঙ্গে অভিনেতাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেছিলেন, তিনি ফেলুদা করবার সময় চোখ বন্ধ করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় কে অনুসরণ করেন। এই কথা উঠলে সৃজিত মুখোপাধ্যায় হাসতে হাসতে বলে ওঠেন,“ এটা পরিচালক হিসেবে আমার পরম পাওয়া। টোটা যেমন আমায় অনুসরণ করে আমিও চোখ বন্ধ করে সত্যজিৎ রায় কে অনুসরণ করি। ফেলুদা তৈরির সময় ফেলুদা সমগ্র আমার বাইবেল। ওনার বর্ণনা, স্কেচ সবকিছুকে চোখ বন্ধ করে অনুসরণ করে ফেলুদা তৈরি করি।”