বিনোদন

কুড়ি বছর ধরে টলিউডের কাজের অফার প্রত্যাখান ফিরদৌসের! কী কারণে টলিউড বিমুখ হলেন অভিনেতা

যে সকল জনপ্রিয় অভিনেতারা ওপার বাংলা ও এপার বাংলায় কাজ করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ফিরদৌস আহমেদ। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের পাশাপাশি এপার বাংলার চলচ্চিত্রেও তার যথেষ্ট অবদান আছে। রচনা ব্যানার্জীর সাথে জুটি বেঁধে এক সময় প্রচুর ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি, তবে এখন আর বাংলা চলচ্চিত্রে সেভাবে তাকে দেখা যায় না। তবে তাই বলে কিন্তু এটা ভাবার কোন কারণ নেই যে, তিনি আর টলিউড থেকে কোন অফার পাননা, টলিউডে কাজ করার অফার তিনি আজও পান, আসলে তিনি নিজেই টলিউডে কাজ করেন না।

আরও পড়ুন: গান্ধীগিরিতে নয়, নেতাজির মন্ত্র বিশ্বাসী কঙ্গনা! হিংস্রতা তার স্বভাবের মধ্যে রয়েছে, রক্ত দেওয়ায় বিশ্বাসী তিনি!

অভিনেতা জানান, আগের মতোই এখনো টলিউডে বিপুল চাহিদা আছে তার, টলিউড থেকে বিগত কুড়ি বছর ধরে প্রচুর কাজের প্রস্তাব পেয়ে আসছেন তিনি, তবে কোনোটাতেই হ্যাঁ বলতে পারেন না অভিনেতা, টলিউডে কাজের সেইসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে হয় তাকে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়ক ফিরদৌস এই বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন।

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন যে, বিগত কুড়ি বছর ধরে টলিউডের ছবিতে কাজ করার বিভিন্ন প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি, কারণ তার সময়ের অভাব। তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ছবিতে অভিনয় করে তিনি আর সময় বার করতে পারছেন না তাই টলিউডের ছবিতে আর কাজ করা হচ্ছে না তার। তবে টলিউডের কয়েকজন প্রযোজক-পরিচালকের সাথে তার ছবির গল্প ও চরিত্র নিয়ে কথা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: বলিউড তারকা ছাড়াই হিট হবে পুষ্পা ২! চারগুণ বাজেট নিয়ে তৈরি হচ্ছে পুষ্পার দ্বিতীয় সিক্যুয়ল

মাঝে দু বছর ভারতে আসার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল তার ওপর। সম্প্রতি সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে তাই কলকাতায় এসে ঘুরে ও গিয়েছেন অভিনেতা। আসলে ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্ব চলাকালীন টলিউডের অন্যান্য তারকাদের সাথে তৃণমূলের হয়ে প্রচার পর্বে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রায়গঞ্জে তৃণমূলের হয়ে প্রচার পর্বে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এই প্রচার পর্বে যুক্ত হয়েই রীতিমতো নিজের বিপদ ডেকে আনেন অভিনেতা।

সেই সময় বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, ভারতবর্ষের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল সরকার বাংলাদেশ থেকে তারকা নিয়ে এসেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক পর্যন্ত বিষয়টি যায়, ফেরদৌসকে তখন বাংলাদেশে চলে যেতে বলা হয়, এমনকি ভারতে আসার ভিসা‌‌ও বাতিল হয় তার। তাই মাঝের দুই বছর তিনি ভারতে আসতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে অভিনেতা বাংলাদেশের একটি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন। অভিনেতা জানান যে তিনি কখনও চান নি যে দেশের সুনাম নষ্ট হোক। আসলে তিনি জানতেন না যে, ভারতে প্রচার করা যাবে না। আবার তাকে যারা নিয়ে গিয়েছিলেন তারাও জানতেন না যে, বিষয়টা বেআইনি। এই কারণে তাকে যথেষ্ট ভুগতে হয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিগত দুই বছর পর গত বছরের নভেম্বরে আবার ভারতে আসার ছাড়পত্র পান অভিনেতা।

Related Articles

Back to top button