ক্রিকেটার হতে পারলে সচীন তেন্ডুলকারের থেকেও বড় স্টার হতাম! বললেন ৪ বাচ্চার বাবা সইফ আলি খান

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলী খান। চকলেট বয় হয়ে অভিনয় জগতে শুরু করেছিলেন নিজের ক্যারিয়ার। জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন ঠিক ততটাই। আবার এই চকলেট বয় এখন চার চারটি সন্তানের বাবা। তবে এর জন্য কম ট্রোল হন না অভিনেতা। শোনা যায় এই ট্রোলের কারণেই নাকি তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসেন না।
সে যাই হোক। অভিনেতা সাইফ আলী খানের বাবা ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদি, মা প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। ক্রিকেট থেকে অভিনয় দুদিকেই ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন সাইফ। কিন্তু সুপুরুষ সাইফ বেছে নেন অভিনয় জগতকে। তার অভিনয় গুণের কদর হয় “ওমকারা” সিনেমার হাত ধরে। তারপর থেকে দিয়ে গেছেন একের পর এক হিট। “হাম তুম”, “দিল চাহতা হ্যায়”, “সেক্রেড গেমস”, “তানাজি” তে নজর কিনেছেন দর্শকের।
তবে একটি প্রশ্ন থেকেই যায় যে বাবার সম্পর্কের ঠাকুরদা এবং বাবা দুজনেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য হওয়ার পরেও ছেলে কেন খেলাধুলার জগতের সাথে যুক্ত হলেন না? পতৌদি পরিবারে শর্মিলা ঠাকুরের হাত ধরে অভিনয় ঢুকলে কেন ছেলেও অভিনয়ের জগৎকেই বেছে নেন? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেছিলেন, “কারণ আমার মনে হয়েছিল যে আমি আব্বার মতো খেলতে পারব না। যখন আমি ৬ বছরের ছিলাম তখনি এটা বুঝে গিয়েছিলাম আমি।”
এই উত্তর দেওয়া এটাকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয় তবে কি তিনি শর্মিলা ঠাকুরের মতো অভিনয় করতে পারবেন? সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেতা জানান, তিনি অবশ্যই মায়ের মত ভাল অভিনয় করতে চাইবেন। কারণ তিনি অভিনয়টা পারেন। তবে অভিনেতা নিজের মুখেই স্বীকার করেন তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুর অভিনয় নিয়ে যথেষ্ট সফল ছিলেন। তাঁর মায়ের মত তিনি কতটা সফল হতে পারবেন তা বলতে না পারলেও তিনি এটুকু বলবেন যে তিনি অভিনয় করতে পারেন।
এরপরেই সেই সাক্ষাৎকারে অভিনেতা মজার ছলে বলেছেন, “গোটা দেশে মাত্র ১১ জন খেলতে পারেন। কিন্তু আমি খেলতে পারলে সত্যিই খুব ভাল হত। আমি মনের দিক থেকে খুব রোম্যান্টিক। আমি তো সচিন তেন্ডুলকরের থেকেও বড় স্টার হতাম। তৃতীয় প্রজন্ম ভাবুন, ঠাকুরদা ক্যাপ্টেন, বাবা ক্যাপ্টেন, ছেলেও ক্যাপ্টেন!” আবার সাইফ হাসতে হাসতে এও বলেছিলেন যে, ক্রিকেট নিয়ে কোনো ছবির অফার আসলে তাতেও তিনি অভিনয় করতে পারবেন না। তিনি নাকি ক্রিকেটে এতটাই খারাপ।