গরম লাগছে অস্বস্তি হচ্ছে বারবার মধ্যে স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন কে কে! কে জানত এ সবই তার মৃত্যুর সংকেত?

জীবন যে কত ক্ষণস্থায়ী তা আগে থাকতে বোঝা যায় না। কার মৃত্যু কখন কোথায় লেখা আছে তাও জানা সম্ভব নয়। তাই হয়তো বলা হয় মানুষের জীবন যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ কোনো কিছু চিন্তাভাবনা না করে শুধুমাত্র উপভোগ করা উচিত। ঠিক যেমনটা ঘটল বলিউডের বিখ্যাত গায়ক ‘কে কে’র ক্ষেত্রে। বিখ্যাত গায়ক ‘কে কে’র পুরো নাম কৃষ্ণকুমার কুনাথ। ভক্তবৃন্দের কাছে যিনি কে কে নামে পরিচিত, গতকাল ৩১ শে মে ২০২২ মঞ্চে গান গাইতে গাইতে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এই গায়ক।
নজরুল মঞ্চে গানের অনুষ্ঠানে গান করতে করতেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। এরপর অসুস্থ বোধ করায় তিনি হোটেলে ফিরে আসেন । হোটেলে ফিরলে তাকে পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গতকাল সন্ধ্যে ৬টা ৪৫ মিনিটে নজরুল মঞ্চে উল্টোডাঙার গুরুদাস কলেজের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
এই দিন বেশ কয়েকটি গান গাওয়ার পর অসুস্থতা বোধ করলে অনুষ্ঠানের স্পট লাইট অফ করতে বলেছিলেন গায়ক। অনুষ্ঠানের বিরতি সময়ে ব্যাকস্টেজে গিয়ে বিশ্রামও নেন তিনি। এরপর সেখান থেকে হোটেলে ফিরে যান। হোটেলে গিয়ে অতিরিক্ত অসুস্থতা বোধ করায় তাকে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু বাঁচানো যায়নি এই বিখ্যাত গায়ক ‘কে কে’ কে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা ঘোষণা করেন ইতিমধ্যেই তার জীবনাবসান ঘটে গেছে। ১৯৬৮ সালের ২৩ আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেছিলেন কে কে।
বলিউডে বহু প্লেব্যাক গান গাওয়ার পাশাপাশি বাংলা, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, গুজরাটি, মারাঠি ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। এছাড়া ইন্ডিয়ান, পপ, রক মিউজকেও নিজের দক্ষতা প্রমাণ দিয়ে গিয়েছেন গায়ক। তার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন সঙ্গীতপ্রেমীরা। অনুপম, ইমন, সুরজিৎ, বিক্রম ঘোষের মতো শিল্পীরা কেকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। কেকের মৃত্যুর খবরে সকলেই হয়ে পড়েছেন শোকাহত। প্রধানমন্ত্রী মোদী কে কে -এর মৃত্যুর পর টুইট করে লিখেছেন, “সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুনাথের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকাহত। সব বয়সী মানুষের জন্য তিনি গান গেয়েছেন। তার গানের মাধ্যমে তাকে আমরা মনে রাখবো। তার পরিবার ও তার ফ্যানেদের জন্য সমবেদনা রইলো।”
টলিউডের জনপ্রিয় গায়ক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শোক জানিয়ে বলেন,“ ২৭ বছরের বন্ধু। আমার প্রথম ছবি থেকে গান গেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার খুব কাছের বন্ধু।” কেকের বিষয়ে কথা বলতে বলতেই আবেগে বিহ্বল হয়ে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চোখে জল চলে আসে তিনি আবার বলেন, “আমার খুব কাছের বন্ধু”।