প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় চলে গিয়ে রেখে গেছেন বহু প্রশ্ন! অভিনেতা নিজের মেয়েকে কোন টলি অভিনেত্রীর মতো দেখতে চাইতেন জানেন কি?

টলিউড ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় গত হয়েছেন বেশ কয়েকদিন হয়েছে। এখনও অভিনেতার স্মৃতি থেকে পরিবার থেকে তাঁর ভক্তরা বেরোতে পারেননি। স্মৃতি এখনও টাটকা। অভিনেতার স্মৃতি আঁকড়ে ধরে এখনও স্ত্রী সংযুক্তা বেরোতে পারেননি। একমাত্র মেয়ে ডলকে ধরেই তিনি নতুন করে বাঁচতে শুরু করেছেন। একমাত্র মেয়ে ডল বাবাকে অনুসরণ করেই জীবনে এগিয়ে যেতে চায়। বাবার মতো অভিনয় কে নিয়েই এগিয়ে যাবে সেও। যদিও মা সংযুক্তার কোনো অসুবিধে নেই এই সিদ্ধান্তে কিন্তু সর্বোপরি তিনি চান শরীরকে অবজ্ঞা করে মেয়ে যেনো অভিনয়কে অধিক গুরুত্ব না দেয়। অভিনেতার শেষ ছবির পোস্টার ও গান লঞ্চের দিন উপস্থিত ছিলেন অভিনেতার স্ত্রী, কন্যা, আরও কাছের মানুষেরা।
মারা যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত অভিনেতা একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক খড়কুটো তে অভিনয় করতেন। টলিউডের অভিনেত্রী তৃণা সাহার বাবার চরিত্রে অভিনয় করতেন প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। যেখানে বাবা মেয়ের রসায়ন ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু কেবল পর্দায় নয় বাস্তব জীবনে বাবা মেয়ের মতোই সম্পর্ক ছিল অভিষেক , তৃণার। ট্রেলার লঞ্চে এসেছিলেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা। যেখানে দু চোখ ভর্তি জল নিয়ে , অভিষেকের স্মৃতি তুলে ধরেছেন তিনি।
অভিনেত্রী বলেছেন, ড্যাডি অর্থাৎ অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় খুব খেতে ভালোবাসতেন। শুটিং ফ্লোরে তিনি থাকা মানেই হৈ হুল্লোর মজা। আর যে কথাটা তিনি সামনে এনেছেন, অভিনেতা নাকি সারাদিন বলতেন তাঁর মেয়ে ডল যেনো বড়ো হয়ে তৃণার মত হয়ে ওঠে। যদিও এই মন্তব্যের কোনো কারণ তিনি বলতেন না। কিন্তু চাইতেন মেয়ে যখন অভিনেত্রী তৃণা সাহার মতোই বেড়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত তাঁর সেই স্মৃতি চোখের সামনে আজও উজ্জ্বল।
আরও জানিয়েছেন অভিনেত্রী, শুটিং ফ্লোরে বাবা মেয়ের মধ্যে সিগারেট নিয়ে ঝামেলা থাকত। মেয়ে তৃণা সাহার একদম পছন্দ ছিলনা অভিষেকের সিগারেট খাওয়া তাই এই নিয়ে ঝামেলা সবসময় চলত। খড়কুটোর মেকাপ রুম শুটিং ফ্লোর সমস্ত কিছু আজও একই জায়গায় থেকে গেলেও শুধু নেই একটা মানুষের উপস্থিতি। যাঁর কথা মনে পড়লে আজও চোখ ভিজে উঠছে সবার। অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এর অকাল প্রয়াণ সিনেমা জগতকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বহু প্রশ্নের মুখে।