নুসরত দশভূজা! একা হাতে শাড়ি সামলে মা কালীর ভোগের খিচুড়ি রাঁধা নুসরত কেই দুর্গার তকমা দিলেন অনুরাগীরা

সব সময় বিতর্কিত হন নুসরত জাহান। কখনো তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কখনও তার বক্তব্যের জন্য। কখনো বা শপিং করে ভিডিও পোস্ট করলেও কটাক্ষ শুনতে হয় ‘সাংসদ হয়ে তার অন্য কোন কাজ নেই শপিং করা ছাড়া’ বা ‘জনগণের টাকায় ফুর্তি করছেন তিনি’। ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করলেন তার পোশাক নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মানুষজন। তারপর এই কিছুদিন আগে তার কেন্দ্র বসিরহাটে তার নামেই নিখোঁজ পোস্টার পরেছিল।
তার নামে অভিযোগ ছিল যে সঙ্গী যশকে নিয়ে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ালেও নিজের কেন্দ্রে ভুলেও পা দেন না তিনি। নিখোঁজ পোস্টার পরার পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ নুসরত জাহান সেই মুহূর্তে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। পরে হাতে কলমে বসিরহাটে উপস্থিত হয়ে সেখানে সারাদিন থেকে বসিরহাটবাসীদের অভিমান ভাঙিয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার নিজের কেন্দ্রের আনাচে-কানাচে ঘোড়ার পাশাপাশি বসিরহাট কলেজ সংস্কারের কাজ নিজে উপস্থিত থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন নুসরত, এছাড়া কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে বৈঠকও করেছেন তিনি। নবনির্মিত ‘আই লাভ বসিরহাট’ ফলকটিও দেখে এসেছেন তিনি।
এরপর শনিবার আবারও বসিরহাটে পৌঁছে যান তারকা সংসদ নুসরত। এই দিন টাকি পুরসভায় একটি বৈঠক করবার পর সেলফি পয়েন্টের উদ্বোধন করেন তিনি। ইচ্ছামতী নদীর ধারে বসা আই লাভ টাকি ফলকের সামনে স্থানীয় বিধায়ক, প্রশাসকদের সাথে একটি সেলফি তুলে সেলফি জোনের উদ্বোধন করেন তিনি। এখানেই শেষ নয় এই দিনে বিকেলে বসিরহাট উত্তরের খোলাপাতা শ্মশান কালী মন্দিরে গিয়ে পৌঁছে ছিলেন তিনি।
এখানে গিয়ে নুসরত পুজোর উদ্বোধন করে ভোগ রান্নাতেও হাত লাগিয়েছেন। কোনদিনই সমাজের রক্তচক্ষুকে পাত্তা দেননি তিনি। এই দিনেও দেখা যায় তার গায়ের সিল্কের শাড়ির আচল কোমরে গুঁজে হাতা নিয়ে ভোগের খিচুড়ি রান্না করছেন তিনি। বিশাল কড়া, বড় হাতা সবটাই সামলে নিয়েছেন একা একা। এরপর আশেপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করছেন হচ্ছে তো? পারছেন তো? সাথে সাথেই চারপাশের মানুষ বলছেন, হ্যাঁ হচ্ছে, পারছেন তিনি। এই ভিডিওটি ইতিমধ্যেই যশ নুসরতের ফ্যান পেজের থেকে শেয়ার হয়ে গেছে। সেখানে অনুরাগীরা আবার নুসরতের মধ্যে মা দুর্গাকে খুঁজে পেয়েছেন। তাদের চোখে নুসরত দশভূজা।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, খোলাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের মথুরাপুর এবং গোবিন্দপুরের সংযোগস্থলে থাকা শ্মশানে যাওয়ার রাস্তা তৈরির জন্য ৫ মুসলিম ভাই জমি দান করে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছিলেন।