‘স্টারকিডদের তুলনায় আউটসাইডারদের লড়াই সহজ! কারণ স্টারকিডদের সমালোচনা করার জন্য সবাই মুখিয়ে থাকে!’ বিস্ফোরক দাবি রাইমা সেনের!

স্টার কিডদের নিয়ে মানুষ সব সময় বেশি মাতামাতি করে। তাই তারা জন্ম থেকে সেলিব্রেটি হয়ে যায়। ছোট থেকেই বাবা-মা ষ্টার হওয়ার দরুণ তারাও লাইম লাইট, ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঝলকানি এগুলির সাথে অভ্যস্ত হয়ে যায়। একই সাথে স্টার কিডদের রূপোলী পর্দায় কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা রয়েছে, তারা চেনা পরিচিতির দরুন সেইসব সুবিধা পান, আউট সাইডারদের যতটা কষ্ট করে নিজেদের জায়গা করতে হয়, তার থেকে তুলনামূলকভাবে কম কষ্ট করতে হয় স্টারকিডদের- উপরি উক্ত এই কথাগুলি ইন্ডাস্ট্রির আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়ায়। কিন্তু কথাগুলি সর্বাংশে সত্যি নয় এমনটাই মনে করেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের নাতনি রাইমা সেন।
তার কথায় স্টার কিডদের তুলনায় আউটসাইডারদের পথ চলা অনেক সহজ। কারণ তাদের মাথায় পূর্বপুরুষদের অভিনয় খ্যাতির সেই চাপটা চাপানো থাকে না, যেমনটা থাকে স্টারকিড দের ক্ষেত্রে যেমনটা থাকে তার বেলায়। জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাইমা সেন ১৯৯৯ সালে শাবানা আজমি অভিনীত ছবি গডমাদারের হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন, এরপর ২০০৩ সালে চোখের বালি ধারাবাহিকে তার অভিনীত চরিত্র আশালতা ভীষণভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করে।
২০০৫ এ পরিণীতা ছবিতে অভিনয় করেছেন রাইমা সেন, রাইমা যখন একটু একটু করে পর্দায় পরিচিতি লাভ করছেন তখন তার দিদি রিয়া সেন প্রতিষ্ঠিত নায়িকা। অন্যদিকে রাইমা সেনের মা মুনমুন সেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী। পরপর দুই দশক ধরে ৬০টি ছবিতে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। রাইমার দিদা সুচিত্রা সেন টলিউড ইন্ডাস্ট্রির মহানায়িকা। দিদা মা দিদি প্রত্যেকেই যেখানে প্রতিষ্ঠিত সেখানে প্রথম থেকেই তার ওপর একটা অসম্ভব চাপ ছিল।
রাইমার কথায়,“ আমি যখন ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখলাম তখন থেকেই সকলে আমার থেকে অনেক বেশি আশা করতে শুরু করেছিল। আমার দিদা মা বোনের সঙ্গে প্রতি পদক্ষেপে আমার তুলনা করা হয়েছে। আমার কাজ নিয়ে নিন্দা করা হয়েছে সকলেরই দাবি ছিল আমার সবকিছু জানা উচিত।” কথা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী তখন বলেছিলেন যে, “আমার মতে আউটসাইডারদের যাত্রা পথ স্টারকিডদের তুলনায় সহজ হয়। কারণ তাদের ওপর এই বাড়তি চাপ থাকে না । স্টার কিডদের সমালোচনা করার জন্য সকলেই মুখিয়ে থাকে।”