বিনোদন

আগামীতেও টুপি পরে মসজিদে যাবো! আমার যা মনে হবে তাই করবো! রাজ চক্রবর্তীর এমন মন্তব্যের পিছনে কী কারণ জানেন

যত দোষ নন্দ ঘোষের মতো, রাজকাহিনী শুনলে মনে হয় যত দোষ টুপির দোষ! ভাবছেন রাজকাহিনী আবার নতুন কোন সিরিয়াল? না এই রাজ হলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। ব্যারাকপুরের বিধায়ক তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর জীবনে টুপি পরায় যেন কাল হলো। একটিমাত্র সাদা টুপি তার হাড়-মাংস পুরো জ্বালিয়ে দিল। ঘটনাটা তাহলে খুলেই বলি। খুশির ঈদে মসজিদে একটি টুপি পড়ে গিয়েই ঝামেলায় পড়ে গেলেন রাজ!

আরও পড়ুন: মা বাবার মতো মেয়েও নেচে বেড়াবে! মায়ের অভিনয়ের জন্য অনামিকা সাহার মেয়েকেও কথা শুনতে হয়েছে

গতকাল ছিল মুসলিমদের পরম পবিত্র উৎসব ঈদ, সকলেই জানেন ইসলাম ধর্মে এটিকে ত্যাগের উৎসব হিসেবে ধরা হয়। রমজান মাসের শেষ হলে ইসলাম ধর্মালম্বীরা রোজা পালন করেন এরপর রোজার শেষে তারা খুশির ঈদে মেতে ওঠেন। আকাশে চাঁদ উঠলে চাঁদ দেখে তবেই তারা খাবার খান, একে অন্যকে আলিঙ্গন করেন এবং উপহার বিনিময় করেন। এ রকমই গত ৩ রা মের ঈদে মসজিদে গিয়েছিলেন রাজ চক্রবর্তী।

ভারতবর্ষে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ এখানে যে যার মত ধর্ম পালন করতে পারে এবং যে যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারে তাই কোনরকম না ভেবেই টিটাগরের একটি মসজিদে গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা দান করেন তিনি এবং সেখানে মাজারে মাথা ঠেকিয়ে দোয়া করেন। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় পরিচালক তথা বিধায়কের পোশাককে ঘিরে। এইদিন মসজিদে রাজ সাদা পোশাক মাথায় সাদা টুপি পরে গিয়েছিলেন কেবল তার মুখাবয়বের মধ্যে লম্বা দাঁড়ির অভাব ছিল। তার পোশাক দেখে বোঝাই যাচ্ছিল না যে তিনি খাঁটি ব্রাহ্মণ, মনে হচ্ছিল তিনি মুসলমান।

আরও পড়ুন: পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে বি টাউনের অভিনেতা অভিনেত্রীদের জয়জয়কার! Jai bhim পেলো সেরা ছবির তকমা।

তার এই পোশাক-পরিচ্ছদের জন্য এরপর তাকে নিন্দার শিকার হতে হয়, সকলেই বলতে শুরু করেন এটা রাজনীতির জন্য করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ঈদ উৎসবের দিনেই হিন্দুদের অক্ষয় তৃতীয়া ছিল। কিন্তু সেই উৎসবের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছেন পরিচালক, তারপর সাচ্চা মুসলমানের মত পোশাক পরে হাজির হয়েছেন মসজিদে। তাই নেটাগরিকরা এখন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন তার ওপর।

এই প্রসঙ্গে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ চক্রবর্তী বলেন,“আমি কখনোই কমেন্ট বক্স দেখি না। আমাকে একজন গতকাল এই বিতর্কের কথা জানায় আমি এগুলো নিয়ে বিশেষ ভাবি না। আমি কি করবো কি পরবো তা নিয়ে কাউকে কৈফিয়ত দেব না। ট্রোলারদের কথায় উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করিনা। আমি গুরুদ্বারে গেলে মাথায় রুমাল বাঁধি। মাজারে গেলে টুপি পরি। গণতান্ত্রিক দেশে আমার পূর্ণ অধিকার আছে আমি আমার যা মনে হবে তাই করব।”

এখানেই থেমে থাকেননি পরিচালক, এর সঙ্গে রাজ এও বলেন যে,“আগামী দিনেও টুপি পরে মসজিদে যাব। আমার কাছে মনুষ্যত্ব ধর্ম। কার কি ধর্ম হবে সেটা তো তার হাতে থাকে না তাহলে জন্মের আগেই জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করো তুমি জন্মের পরে এই ধর্ম পাবে সে রাজি হলে তবেই জন্মাবে সেটা যখন সম্ভব নয় তখন কারোর ঞ্জান শুনবো না। যারা কটু কথা বলছেন সেটা তাদের রুচি বোধের ব্যাপার। আমি কাউকে উত্তর দিতে চাইনা। কোন কৈফিয়ত দেব না।”

Related Articles

Back to top button