পুজোর মধ্যে একরাশ মন খারাপ অভিষেকের স্ত্রী ও কন্যার, বাৎসরিক দুর্গোৎসব এবার বন্ধ চ্যাটার্জি বাড়িতে

আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তারপরেই বাদ্যি বেজে যাবে পুজোর। তাইতো পুজোর শপিং, জামা কাপড় খাওয়া দাওয়া জুয়েলারি সমস্ত কিছু নিয়ে ব্যস্ত এখন প্রত্যেকটা বাড়ির লোকজন। বাংলার প্রত্যেকটা আনাচ-কানাচ মেতে উঠেছে পুজোর আনন্দে। গ্রাম থেকে শহর আলোয় সেজে উঠবে আগমনীর আলোতে। কত আলো কত পুজো প্যান্ডেল কত থিমে ভরা দুর্গোৎসব। কিন্তু সব বাড়িতে কি এই আলোর রসনাই পৌছবে? সবাই কি নিজের মন খুলে মেতে উঠতে পারবেন দুর্গাপূজায়? যেমন পারছেন না অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা। পুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলেন এবার। এই মন খারাপে দেবীর আরাধনা সম্ভব হবে না তাঁর পরিবারের।
কিছুদিন আগেই টলিউড হারিয়েছে তাঁদের হ্যান্ডসাম হাংক অভিষেককে। মাত্র ৫৭ বছর বয়সে ইহলোক ত্যাগ করলেন অভিনেতা। চলতি বছরেই গত ২৪ শে মার্চ নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অভিষেক। মেয়ের দায়িত্ব রেখে গেলেন স্ত্রীর কাঁধে। এবারে পরিবারের এমন বিষন্নতা ভরা পরিবেশে দেবীর আরাধনা হয়তো সম্ভবও ছিল না। একটা সময় অভিনেতা নিজেই নিজের বাড়িতে শুরু করেছিলেন দেবী দুর্গার আরাধনা। নিজেই করতেন সেই পুজো। যেটা এই বছরে আর হবেনা। অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা নিজেই চাইছেন না এবারের পুজো হোক।
প্রসঙ্গত একটা সময় পুজোর আগে আগে সময় চ্যাটার্জি পরিবারে একেবারে ধুমধুমার কান্ড থাকতো। পুজোর আয়োজন পুজোর সরঞ্জাম এইসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চ্যাটার্জি পরিবার। কিন্তু এবারে আসে সব কোন কিছুই চাইছেন না সংযুক্তা। মেয়েকে নিয়ে চলে যেতে চান শহর থেকে অনেক দূরে। যেখানে ঢাকের আওয়াজ পৌঁছবে না। জানা গিয়েছে একরাশ মন খারাপ নিয়ে শহর ছাড়তে প্রস্তুত অভিষেকের স্ত্রী। শোনা গিয়েছে কেরালায় নির্জনে মেয়েকে নিয়ে সময় কাটাবেন তিনি। অভিষেকের স্মৃতি থেকে দূরে থাকতে চান তাঁর স্ত্রী।