‘একটা মানুষের জন্য তো আর গোটা দলটা খারাপ হয়ে যায়না’, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেপ্তার হয়েছেন, এবার এ বিষয়ে মুখ খুললেন শাসকদল ঘেসা অভিনেত্রী তৃনা সাহা

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক খরকুটো। ওই ধারাবাহিকের মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন তৃণা সাহা। অভিনেত্রী বহু আগে থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তাকে শাসক দলের হয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখা গেছে। এবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারি প্রসঙ্গে তিনি মুখ খুললেন।
অভিনেত্রী নিজের দলের এমন ঘটনা সম্পর্কে বলেন, “একটা ঘটনার জন্য তো গোটা দল খারাপ হয় না। সব জায়গায় খারাপ ভালো দুইই থাকে। আমি নিশ্চিত যে কোন জায়গা সত্যির জয় হয়। এখন তো গোটা বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে। সবে শুনেছি গ্রেফতার হয়েছেন বাড়ি থেকে কুড়ি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে খুবই উপর উপর জানি। আমি এটা বলব কোনও একটা মানুষের জন্য তো দল খারাপ হয় না।”
২০২১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তৃনা সাহা এবং নীল ভট্টাচার্য। এর পরেই যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তারপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় দলের প্রচারে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। অভিনয় এবং রাজনীতি এর সূত্রে কি কখনো অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এর সঙ্গে দেখা হয়েছে? এ প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান, “না ওর সঙ্গে কখনও দেখা হয়িনি। চিনি না, কোনও কাজও দেখিনি।”
তৃনা সাহা ছাড়াও টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছেন। এমনই আরো একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হলেন ভরত কল। সম্পূর্ণ ঘটনাটি সম্পর্কে অভিনেতার বক্তব্য, “আমি দল জয়েন করি দিদির জন্য। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখছি। আজকে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস কেন পলিটক্সে দুর্নীতিগ্রস্থ লোক বারে বারে এসেছেন তাঁরা আছেনও। আইন যেটা বলবে সেই অনুযায়ী প্রাপ্য শাস্তি পাক। এবং সে বলুক কোথা থেকে টাকা পেয়েছে, কেন পেয়েছে, কেন রেখেছে বাড়িতে। সে কোনও সচেতন মানুষের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। তবে আমি আমার কথা বলতে পারি আমি এই ধরনের পলিটিক্সে বিশ্বাস করি না। ২১ এ জুলাই-এর মঞ্চ থেকে অভিষেক তো পরিস্কার বার্তা দিয়েছে আপনি ঠিকাদার হতে চাইলে টিকিট পাবেন না, পার্টি তে থাকতে পারবে না। তবে হ্যাঁ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি অবশ্যই বড় সড় ধাক্কা। তবে অনেক বড় বড় পলিটিক্যাল পার্টি ইনস্টিটিউশনে তো এমনটা হয়ে থাকেই। আজকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় মহাসচিবের কথা হচ্ছে তবে দক্ষিণ ভারতের নেতা বেঙ্গারু লক্ষ্মণ কী করেছিলেন, তবে এইসব প্রসঙ্গ টানতে চাইনা। সিস্টেমটা পরিষ্কার হোক।” অর্থাৎ উভয়েরই কথা থেকে এটা স্পষ্ট যে দুজনেই নিজেদের শাসক দলকে সাপোর্ট করছেন।