বিনোদনসিরিয়াল

হাতির কাছে মশা! ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে কোভিডকে তুচ্ছ লাগতো ঐন্দ্রিলার!

মারণ রোগ ক্যান্সেরকে যে জয় করেছে তার কাছে কোভিড তুচ্ছ।‘জিয়ন কাঠি’ খ্যাত অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার অবস্থা ঠিক এমনই। গত ডিসেম্বর মাসের ২৯ তারিখে শেষ কেমো নেওয়ার পর তিন মাস পার করে মে মাসে কোভিডের টিকা নেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আবার তিন মাস বাদে দ্বিতীয় টিকা নিলেন। এই দিন টিকা নে‌ওয়ার ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন,“জানি অনেকটা দেরি করলাম। কিন্তু ইচ্ছা ছিল সবার মত ছবি তুলবো।” ঐন্দ্রিলার কথায়,“ফুসফুসে পিনেট ক্যান্সার হয়েছিল এই নির্দিষ্ট ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীন টিকা নেওয়া যেত না। তাই এত দেরি হল। এখন আমি সকলের মতো জীবন যাপন করতে পারি। এই যেমন টিকা নিলাম। তবে হ্যাঁ কয়েকটা জিনিসে বাধা-নিষেধ রয়েছে। ফুসফুসের একটা অংশ বাদ গিয়েছে বলে স্কাই ড্রাইভিং এর মত রোমাঞ্চকর খেলার অংশ নিতে পারবোনা। কোনোদিন হয়তো লাদাখের সৌন্দর্য‌ও দেখতে পারবোনা। কারণ সমুদ্রতল থেকে খুব বেশি উচ্চতায় যাওয়া বারণ। তাছাড়া যেখানে অক্সিজেন কম, সেসব জায়গায় ভ্রমণ নিষেধ।”

আরও পড়ুন: ক্যাটরিনা থেকেও দেখতে সুন্দর তার মা! ক্যাটরিনার মায়ের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ বলি তারকারাও!

কিন্তু এত দেরিতে কোভিডের টিকা নিলেন! ভয় পাননি অভিনেত্রী? এই প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান, “হাতির কাছে মশাকে যতটা ছোট মনে হয়। কোভিডকেও ক্যান্সারের কাছে সেরকমই মনে হয়েছিল। কোভিডের ভয় মনে দানাই বাঁধেনি‌। অন্যভাবে তখন মৃত্যুকে কাছাকাছি দেখতে পাচ্ছি তবে হ্যাঁ সেই সময়ে কোভিড হলে হয়তো আর বাঁচতাম না, ডাক্তার তাই বলেছিলেন মাকে। তাই ক্যান্সারের চিকিৎসা চলাকালীন কোভিডের মতো রোগ থেকে সতর্ক থাকতে হচ্ছিল কারণ কোভিড তো ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটায় আর আমার ফুসফুসেই ক্যান্সার।”

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Aindrila Sharma (@aindrila.sharma)

অতিমারির সময়ে তাই সেইভাবে বাড়ির বাইরে বের হননি অভিনেত্রী কয়েকবার খালি কেমো নিতে বেরিয়েছিলেন ওইটুকুই। আর মাঝেমধ্যে খুব মন খারাপ হলে প্রেমিক অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর সাথে কফি শপে গিয়ে এক কাপ কফি খেতেন আর বাবা-মা দিদির সাথে গাড়ি করে শহর ঘুরে বেড়াতেন। তাতেই যা আনন্দ উপভোগ করতেন তিনি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবেন না বলে জানান অভিনেত্রী।

আরও পড়ুন: “ফেলুদা বানিয়েছি নিজের জন্য! দর্শকদের যদি ভালোলাগে সেটা উপরি পাওনা” বললেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়

সর্তকতা সত্ত্বেও অবশ্য রেহাই পাননি তিনি। অভিনেত্রী জানান ডিসেম্বরে ক্যান্সারের চিকিৎসা শেষ হওয়ার পরে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সেই সময় শরীর দুর্বল থাকায় ওমিক্রনের প্রকোপে টানা সাতদিন জ্বর ছিলো তার। বিছানা ছেড়ে উঠতে পারেননি তিনি সেইসময়। এমনকি সাত-সাতটি কম্বল চাপা দিয়েও জ্বরে কেঁপে উঠছেন। কিন্তু মনের জোরে ক্যান্সারের মতো কোভিড থেকেও সেরে উঠেছেন নায়িকা।

Related Articles

Back to top button