‘বেস্ট ফ্রেন্ড মুসলমান এক থালায় ভাত খেয়ে বড় হয়েছি কোথাও কোন অসুবিধা হয়নি’ বন্ধুত্বের সম্পর্ক জাত পাতের ঊর্ধ্বে এই নিয়ে মুখ খুললেন দিতিপ্রিয়া রায়!

জি বাংলায় রানী রাসমণি করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন দিতিপ্রিয়া রায়। পরবর্তীকালে বড় পর্দায় সাবলীল ভাবে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। এমনকি আগামীতে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘অচেনা উত্তম’ ছবিতে সাবিত্রী দেবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন দিতিপ্রিয়া। সম্প্রতি বন্ধু দিবস উপলক্ষে নিজের বন্ধুর সম্পর্কে বলতে গিয়ে জাত পাতের উর্ধ্বে ওঠে বন্ধুত্ব তৈরি করার কথা বললেন দিতিপ্রিয়া।
দিতিপ্রিয়া বলেন,“ দিবস বলতে গেলে আমার স্কুলের বন্ধুদের কথাই মনে পড়ে। কেননা, ওরাই আমার বন্ধু রয়ে গিয়েছে। আমার বন্ধু সংখ্যা বাড়েওনি, কমেওনি। স্কুলে আমরা খুব ক্লোজ় ছিলাম। আমাদের বন্ধুদের গ্রুপে ৮জন। তার মধ্যে আমরা ৪জন বন্ধু বেশি ক্লোজ়। তার মধ্যেও ২জন আরও বেশি ক্লোজ়। ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ বলা যেতে পারে। এখনও তাঁরাই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আমাদের কোনওদিনও কোনও অসুবিধে হয় না। সমস্যায় থাকলে প্রথম ফোন তাদের কাছেই যায়। আমার এটাও মনে হয়, বন্ধু হিসেবে তারাই আমাকে সবচেয়ে বেশি বোঝে। আমার ‘হাঁ’ বললে ওরা হাওড়া বুঝে যায়”
এরপর বন্ধুত্বের মধ্যে যে কোনদিনই জাত পাত ধর্ম আসে না এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন,“ দু’জন বেস্টির একজন কিন্তু মুসলমান। অনেককেই ধর্ম নিয়ে খুঁতখুঁতে হতে দেখেছি। বৈষম্য তৈরি করতে শুরু করে দেন তাঁরা। এগুলো কিন্তু আমার আর ওয়াহিদার মধ্যে কোনওদিনও আসেনি। বিশ্বাস করুন, ধার্মিক বিভেদের কথা কোনওদিনও ফিল করিনি। আমরা এক থালায় খেয়ে বড় হয়েছি। মোদ্দা কথা, আমার বেড়ে ওঠা ওরই সঙ্গে। আমাদের দু’জনের পরিবারও এই নিয়ে কোনও আপত্তি জানায় নি।”
কথা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরো বলেন তার সেই বন্ধু ওয়াহিদা যেমন পুজোর সময় নতুন জামা কেনার জন্য লাফালাফি করে তেমনি তিনিও ঈদে ওদের বাড়িতে যান দুই ধর্মের সমস্ত কিছুই তারা সেলিব্রেট করেন একসাথে। সবশেষে অভিনেত্রী বলেন “দুই ধর্মেরই সবকিছু সেলিব্রেট করি… এটাই তো চাই …এটাই তো হওয়ার কথা”