‘সত্যিকারের বন্ধু অন্যের ঘর ভাঙে না, বিশ্বাস ঘাতকতা করে না!’মিঠাইয়ের এই পোষ্ট কি ইঙ্গিত করছে নন্দার দিকে?

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মিঠাই’ একসময় দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে বেঙ্গল টপার হয়েছে, বর্তমানে সেই জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়লেও আজও ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত কারণ এই ধারাবাহিকের গল্প বেশ অন্যরকম। এই ধারাবাহিকে কোনরকম পরকীয়া বা সাংসারিক কূটকাচালি নেই। গত দেড় বছর ধরে এই ধারাবাহিক তার গল্পের মধ্যে যৌথ পরিবারের আনন্দ এবং রসায়ন তুলে ধরেছে। এই ধারাবাহিকের প্রতিটি চরিত্রই তাই মানুষের খুব মন পছন্দের।
তবে দীর্ঘ কয়েক দিন ধরে এই ধারাবাহিকের কলাকুশলীদের মধ্যে একটা টানাপোড়েন চলছে। ধারাবাহিকের দিদিয়া, মিঠাই ও সিডের মধ্যে একটা টানাপোড়েন চলছে। শোনা যাচ্ছে যে, এদের অফ স্ক্রিন সম্পর্ক এতটাই খারাপ হয়েছে যে, একে অন্যের সাথে কথা বলা বন্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দিদিয়াকে আনফলো করেছিল মিঠাই, অন্যদিকে মিঠাইকেও আনফলো করে দিদিয়া। যদিও প্রকাশ্যে এই ব্যাপারে তারা মুখ খোলেননি তবে শোনা যাচ্ছিল যে একটি ত্রিকোণ প্রেমের বিষয় চলছে। মিঠাই নাকি একতরফাভাবে সিডকে ভালোবাসে, অন্যদিকে সিড নাকি নন্দাকে ভালোবাসে বলে শোনা যাচ্ছিল।
এমনকি সিদ্ধার্থের জন্মদিনেও মিঠাই সিদ্ধার্থকে উইশ করেনি উল্টে মন খারাপের স্যাড স্ট্যাটাস দিয়েছিলো, যা নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করে। আজকে মিঠাই অর্থাৎ সৌমিতৃষা কুন্ডুর একটি পোস্টে আরো সেই জল্পনা তুঙ্গে উঠে যায়। মিঠাইয়ের খুব ভালো বন্ধু সায়ক চক্রবর্তীর সাথে একটি পোস্ট করেছেন মিঠাই। পোস্টে দেখা যাচ্ছে যে সায়ক মিঠাইয়ের কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছে আর ক্যাপশনে লেখা আছে,“ কিছু বন্ধু ভাগ্য করেই পাওয়া যায়। বন্ধুর চোখের জল দেখলে কোন কিছু বিবেচনা না করে নিজের ইমেজ ভুলে হয়ত অপ্রস্তুত কিছু করে ফেলে, যারা বিনা স্বার্থে বন্ধুর ভালোর জন্য সব করে দিতে পারে, যারা বেইমানি করে না, বিশ্বাসঘাতকতা করে না, বন্ধুর ঘর ভাঙ্গে না, বন্ধুর অনুপস্থিতিতেও বন্ধুকে নিয়ে সুখ্যাতি করে।”- সৌমিতৃষা কুন্ডুর এই পোস্টটিই যথেষ্ট ছিলো, আগুনে ঘি দেওয়ার জন্য, সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন শুরু হয়ে যায় কে বেইমানি করেছে মিঠাইয়ের সাথে?কেই বা মিঠাইয়ের ঘর ভেঙেছে?
আরও পড়ুন: কেকে বিতর্ক ভুলে ভারত সরকারের হয়ে গান গাইলেন রূপঙ্কর বাগচী! শ্রোতারা কি ক্ষমা করবেন তাকে?
এরপর কেউ বলে যে, এই কথাটি সিডকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, কেউ আবার বলে, যে এই কথাটি নন্দার উদ্দেশ্যে বলা। আবার অনেকেই মনে করছেন যে সদ্য প্রয়াত টেলিভিশন অভিনেত্রী পল্লবী দে কে মনে করে কথাটি লেখা হয়েছে। কথাটি যার উদ্দেশ্যেই লেখা হোক না কেন, কথাটি যে কাউকে উদ্দেশ্য করেই লেখা তা স্পষ্ট! তবে মেঘের আড়ালে মেঘনাদ টি কে তা বোঝা যাচ্ছেনা।