“হাসপাতালে নেইলপার্লার খুললো নাকি, ডান বুকে তো গুলি লেগেছিল তবে ডানহাতে ব্যান্ডেজ কেন? চরম ট্রোল হচ্ছে মিঠাই সোশ্যাল মিডিয়ার

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। বাংলার সেরা হওয়ায় বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে ইতিহাস গড়েছিল এই ধারাবাহিক। তারপরে কিছুদিনের জন্য টিআরপি তলানিতে নেমে যাচ্ছিল তার। তার কারণ হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাংশের বক্তব্য ছিল মিঠাইতে এমন ঘটনা দেখানো হচ্ছে যা বাস্তবে অসম্ভব। ধারাবাহিককে গল্পের গরু গাছে উঠছে এই ধরনের মন্তব্যেও আক্রমণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি আরো কিছু ঘটনা নিয়ে কটাক্ষের শিকার হয় মিঠাই।
বর্তমানে দেখানো হচ্ছে ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র মিঠাইয়ের গুলি লাগায় সে হাসপাতালে ভর্তি। একেবারে টানটান উত্তেজনা ধারাবাহিকের বিশেষ পর্বে। যদিও সেখানেও কিছু সিন নিয়ে বেশ চর্চা হয়েছে। ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল মিঠাই হাসপাতালে যাওয়ার আগে তার নখ যথেষ্ট বড় এবং লাল নেইলপলিশ পরা। কিন্তু হাসপাতালের বেডে শুয়ে দেখানো হলো নখ ছোট হয়ে গেছে আর নেই কোন নেইলপলিস। এই নিয়ে মানুষ ট্রল করতে শুরু করলেন যে, “হাসপাতালে নেইলপার্লার খুলল নাকি?”
কিন্তু আমরা যদি একটু চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিকে নজর রাখি তাহলে জানা যাবে হাসপাতালে ভর্তি হবার পর রোগীদের নখ, নেলপলিশ পরিষ্কার করাটাই স্বাভাবিক। তাই বলতে হবে অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে বাস্তবিকতায় মিঠাই ধারাবাহিকে বেশ নজর রাখা হয়েছে। এই বিষয়টি বেশ প্রশংসনীয়। তবে সাধারণ ট্রোলাররা এত হয়তো ভাবেননি।
এছাড়াও আরো একটি বিষয় নিয়ে কথা ওঠে সেটি হল, ধারাবাহিকে দেখানো হল মিঠাইকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসা হলো। কিন্তু মিঠাই এর গুলি লেগেছিল ডান বুকে তবে ডান হাত ব্যান্ডেজ করা কেন? এমন সব অদ্ভুত কথা নিয়ে মিঠাইকে ট্রোল করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই কথা কি করে কোন মিঠাই প্রেমীরা মেনে নিতে পারেন!
তাই এক মিঠাই ভক্ত স্পষ্ট ভাষায় জবাব দিলেন,”গল্প অনুযায়ী দেখানো হয়েছে, মিঠাইয়ের বুকের ডানদিকে গুলি লেগেছে, তাই ওই জায়গাটায় ব্যান্ডেজ দেওয়াটা খুবই স্বাবভিক। কিন্তু মিঠাইয়ের হাত তো আর ভাঙেনি, তাহলে হাতে ঐরকম সাপোর্ট ব্যাগ কেন? আসলে সাধারণত সব আর্টারি-ভেন একে অপরের সাথে যুক্ত। হৃদয় থেকেই তো রক্ত সর্বদেহে ছড়িয়ে যায়। তাই হাতে টান লাগলে, ক্ষতর জায়গা থেকে রক্তপাত তে পারে। তাই হাত টা ওইভাবে আটকে রাখা হয় বাস্তবে। যেটা সিরিয়ালে না দেখলেও চলতো, কিন্তু এটা তো “মিঠাই”। বাস্তবতায় ভরপুর। তাই এইসব সূক্ষ্ম জিনিস ও খুব নিপুন সহকারে প্রদর্শিত হয়।” অর্থাৎ এর আগে মিঠাইকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করা হয়েছিল ধারাবাহিকের প্লট নিয়ে। তাদের মনে হয়েছিল ধারাবাহিকে গল্পের গরু গাছে উঠছে। তবে এবার এত ভালভাবে খেয়াল রাখা হয়েছে যে বলা যাবে না গল্পের গরু গাছে উঠছে। কিন্তু তারপরেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রলাররা ছাড়ছে না ধারাবাহিককে।