মনিকা সুর জেল থেকে পালিয়ে দিদি নং ১ এর মঞ্চে পৌঁছে গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে কমেন্টে খিল্লি করছে দর্শকেরা

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মন ফাগুনে খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী শাওন দে। টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ পরিচিত মুখ তার। বর্তমানে ধারাবাহিকে জেলবন্দি অবস্থায় দেখা যায় শাওন অভিনীত চরিত্র মনিকা সুরকে। এবার অভিনেত্রী বাংলার সেরা রিয়েলিটি শো দিদি নং ওয়ান এর মঞ্চে আসলে তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ হাসি ঠাট্টা করেন দর্শকেরা।
জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো তথা বাংলার সেরা রিয়েলিটি শো দিদি নং 1। এই শো এর নাম শুনলেই প্রথমেই মাথায় আসবে বর্তমানে শো এর সঞ্চালিকা তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সঞ্চালিকা তথা অভিনেত্রীর অনবদ্য সঞ্চালনার কারণে শোটি একটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। সারা সপ্তাহ ধরে একঘেয়ে চলতে থাকা ধারাবাহিকের মধ্যে রিয়েলিটি শো গুলি যেন জলের মতো প্রাণদায়ী। এই রিয়েলিটি শোটি নিজের ক্ষমতায় পেয়েছে বাংলার সেরা শিরোপা।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও খুব ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী শাওন দে, দিদি নং ওয়ান এর মঞ্চে এসে উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে রয়েছেন অন্যান্য আরো ৪ সেলিব্রিটি। অভিনেত্রীর সাথে রয়েছেন তার স্বামী সৌম্য সংকর দে। এই প্রমোতেই জানা যায় অভিনেত্রীর স্বামী যখন ক্লাস এইটে পড়তেন তখন অভিনেত্রী পড়তেন ক্লাস নাইনে। এই কথা শুনে শোয়ের সঞ্চালিকা রচনা বলে ওঠেন, “আমার ছেলে ক্লাস এইট তাহলে ও কি কিছু লুকোচ্ছে?” এই প্রমো ভিডিওর কমেন্ট সেকশনেই এক দর্শক মন্তব্য করেন, “মনিকা সুর জেল থেকে পালিয়ে দিদি নম্বর ওয়ান এর মঞ্চে পৌঁছে গেছে” । এই মন্তব্যকে ঘিরেই ব্যাপক খিল্লি করা হয়।
প্রসঙ্গত বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন দিদিদের জীবনের দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণা কাটিয়ে দৃঢ়-মনোবলের সাথে সামর্থ্য নিয়ে নিজের নিজের কাজ করে যাওয়াকে কুর্নিশ জানায় জি বাংলা এই শো এর মাধ্যমে। এই শো এর মঞ্চে সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি সকলেই আসেন নিজেদের অভিজ্ঞতা দর্শকের সাথে শেয়ার করে নিতে। প্রতিযোগীদের এরূপ দৃঢ় মনোবল উৎসাহ যোগায় দর্শকদের। এই শো সম্পর্কে স্বয়ং সঞ্চালিকা তথা জনপ্রিয় অভিনেত্রী রচনা জানিয়েছিলেন এই শো থেকে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন। এই প্রসঙ্গেই সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকার অভিনেত্রী বলেন তিনি এই শো এর মাধ্যমে এত দিদিদের জীবনের দুঃখ কষ্ট দেখেছেন যে তিনি নিজে এখন আর কাঁদেন না।