সিরিয়াল

সারেগামাপা-এর খুদে প্রতিযোগীদের জন্য খারাপ খবর! এবছর সারেগামাপার মঞ্চে খুদে সদস্যরা প্রতিযোগিতা থেকে দূরে থাকবে, সারেগামাপার অডিশন পর্বে ঘোষণা করলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী

সপ্তাহখানেক হলো জি বাংলায় শুরু হয়েছে বাংলা সব থেকে বড় মিউজিক রিয়ালিটি শো সারেগামাপা। সপ্তাহের প্রতিদিন ধারাবাহিকের একঘেয়েমি কাটিয়ে উঠতে এই রিয়ালিটি শো গুলির কোন জবাব নেই। প্রতিটি রিয়েলিটি শো যেন এই একঘেয়েমি কাটাতে সহায়ত করে। আর গান হল এমন একটি জিনিস যা মুহূর্তেই সকলের মন ভালো করে দেয়। গান শুনলে মন প্রাণ সব কিছুই যেন নিমেষের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। আট থেকে আশি আমরা প্রত্যেকে গানের সঙ্গে কোনো না কোনো ভাবে যুক্ত। কেউ গান ভালো গাইতে পারে তো কেউ গান শুনতে পছন্দ করেন, মোটকথা গানের সঙ্গে সকলেই যুক্ত। আর এই ক্ষেত্রে জি বাংলার সারেগামাপার তো কোন তুলনাই হয় না। এই শো দেখার জন্য হাজার হাজার দর্শক অপেক্ষা করে থাকে।

সপ্তাহের শেষে শনি এবং রবিবার ঠিক রাত সাড়ে নটা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত এই রিয়েলিটি শো দেখানো হয়। গতবারের মতো এ বছরও শো টি সঞ্চালনার দায়িত্বে রয়েছেন টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়। বিচারকের আসনে রয়েছেন শান্তনু মৈত্র, শ্রীকান্ত আচার্য, রিচা শর্মা, ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, যোজো থেকে শুরু করে প্রত্যেকে। শেষ কয়েক সপ্তাহ ধরে সারেগামাপার মঞ্চে গ্র্যান্ড অডিশন পর্ব চলছে। তবে পরের সপ্তাহ তে দেখা যাবে গ্র্যান্ড প্রিমিয়াম শো। ইতিমধ্যেই তার প্রমো ভিডিও আমরা দেখে নিয়েছি।

এছাড়াও এবারে প্রধান বিচারপতির আসনে আলোকিত করে রয়েছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তাঁর উপস্থিতি যেন সারেগামাপার মঞ্চে আরো আলোকিত করে তুলেছে। এবারে সারেগামাপার মঞ্চে খুদে সদস্য থেকে শুরু করে কিশোর কিশোরীরা প্রত্যেকেই প্রতিযোগী অংশ হিসেবে রয়েছে। অডিশন পর্বে আমরা দেখেছি প্রত্যেক খুদে সদস্য নিজেদের অসাধারণ কন্ঠে গান গেয়ে দর্শকদের নয়নের মনি হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যেই। তবে শেষ সপ্তাহের অডিশন পর্ব শেষে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী একটি বড় ঘোষণা করেন সারেগামাপার মঞ্চে দাঁড়িয়ে। তিনি জানান এ বছর সারেগামাপার মঞ্চে খুদে সদস্যরা এই প্রতিযোগিতা কে দূরে থাকবে। তারা সারেগামাপার মঞ্চে সঙ্গে যুক্ত থাকবে গান গাইবে, পারফরম্যান্স ও করবে কিন্তু প্রতিযোগিতা থেকে তারা দূরে থাকবে। কারণ এইটুকু বয়সে যদি তাদের প্রতিযোগিতার দৌড়ে দাঁড় করিয়ে দেয়া হয় তাহলে সেটা তাদের ভবিষ্যতের উপর বাজেভাবে প্রভাব ফেলবে। তাই সকলে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আর বিচারকদের এই সিদ্ধান্তে সহমত জানিয়েছেন খুদেদের অভিভাবকরা। গুরুজি আরও জানিয়েছেন এ খুদে সদস্যরা প্রত্যেকেই গুরুজীর থেকে তালিম নেওয়ার সুযোগ পাবে। সারেগামাপার মঞ্চে দাঁড়িয়ে গান গাইবেন সকলের থেকে কিছু না কিছু শিখবে। কিন্তু প্রতিযোগিতা থেকে দূরে থাকবে তারা। এটা তাদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই করা হয়েছে।

Related Articles

Back to top button