সিরিয়াল

‘প্রকৃত সঙ্গীত সাধনা নেই রিয়েলিটি শোতে চাকচিক্য‌ই বেশি’! দুদিন সারেগামাপার মঞ্চে গিয়েই মন্তব্য করলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী!

‘এই ধরনের রিয়েলিটি শো পছন্দ করি না, প্রকৃত সঙ্গীত সাধনা নেই চাকচিক্য বেশি’ দুদিন সারেগামাপার মঞ্চে গিয়ে মন্তব্য করলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী!

গত ১১ জুন জি বাংলায় সারেগামাপা শুরু হয়েছে। গতবারের সাথে এবারের কিছু পার্থক্য আছে। এই যেমন গতবার তিনজন গুরু ছিলেন, এইবার ৫ জন গুরু আছেন। রাঘব চট্টোপাধ্যায়, ইমন চক্রবর্তী এবং মনোময় ভট্টাচার্যের সাথে আর‌ জোজো মুখোপাধ্যায় এবং রথীজিৎ ভট্টাচার্য‌ও থাকবেন আর বিচারকের আসনে দেখা যাবে শান্তনু মৈত্র, শ্রীকান্ত আচার্য ও রিচা শর্মাকে। একই সাথে মহাগুরুর আসনে বসছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। প্রতিযোগীদের গান শুনে নিজের মূল্যবান মতামত তিনি দেবেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর সদ্য দুইদিন হয়েছে এই শো, এখন শোনা যাচ্ছে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী প্রত্যেক পর্বে আসবেন না। কেন প্রতি পর্বে তাকে দেখা যাবে না তাও জানিয়েছেন তিনি সম্প্রতিককালে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে।

আরও পড়ুন: তারকাদের বিয়ের দেনাপাওনা মানেই এলাহি ব্যাপার!স্বামীকে ২০ কোটির বাংলো উপহার দিলেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী! উপঢৌকন দেওয়ার লড়াইয়ে পিছিয়ে নেই পরিচালক স্বামীও!

অজয় চক্রবর্তী বলেন বেশ কয়েক বছর ধরে আয়োজকরা তাকে অনুরোধ করছিলেন যে অনুষ্ঠানে মহাগুরুর আসনে বসার, কিন্তু প্রতিবারই তাদের অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে এইবার আয়োজকেরা তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, প্রথম পাঁচ জন সফল প্রতিযোগীকে তিনি সংগীত শিক্ষা দেবেন।

রিয়েলিটি শোতে অনেক রকম ব্যাপার থাকে বিচারকদের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয় আর পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ‌ও ওঠে‌। এই বিষয় নিয়ে পন্ডিতজি জানান যে, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ তাকে আশ্বাস দিয়ে বলেছে যে, অন্যান্য সকল বিচারকরা তাকে শ্রদ্ধা করেন তাই তাদের সঙ্গে তার মত পার্থক্যর কোনো সম্ভাবনাই তৈরি হবে না। অন্যদিকে রিয়েলিটি শোয়ের মধ্যে পক্ষপাতিত্বের মতো কোনো ব্যাপার থাকলে তিনি জোর গলায় প্রতিবাদ জানাবেন বলেও মন্তব্য করেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।

আরও পড়ুন: ‘নুসরতকে রোদ্দুরের বৌ লাগছে’! গ্রেফতার হ‌ওয়ার পর কেন রোদ্দুর রায়ের স্টাইল ফলো করে ছবি দিলেন নুসরত?

পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী আরো বলেন যে খুব বেশি যন্ত্রসঙ্গীতের ব্যবহার আছে যেসকল গানে তেমন গান বাছতে মানা করেন তিনি, কিন্তু যেহেতু এটি একটি রিয়েলিটি শো তাই প্রতিযোগীরা‌ও উত্তেজক গান বাছতে বাধ্য। তবে বিচারক হিসেবে প্রতিযোগীদের মধ্যে কিছু কিছু গুণ খুঁজে নেবেন তিনি। যার মধ্যে অন্যতম গানের অর্থ বোঝানো। পন্ডিতজি বলেন, গায়ককে গানটির প্রকৃত অর্থ বোঝাতে সক্ষম হতে হবে তা না করে গানকে শুধুই অলংকার সর্বস্ব করে তোলার মধ্যে কোন বাহাদুরি নেই।

এর পাশাপাশি বাংলা ও মুম্বাই শিল্পীদের বিভেদ নিয়েও মুখ খুলেছেন পন্ডিত জি। রিয়েলিটি শোতে মুম্বাই থেকে শিল্পীরা বিচারক হয়ে আসেন কিন্তু জাতীয় স্তরের কোন অনুষ্ঠানে বাংলার শিল্পীরা ডাক পান না কেন এর উত্তরে তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রের শিল্পীরা লড়াই করতে জানেন বাংলায় ভাত ডাল এর প্রভাব বেশি। পন্ডিত জি ব্যক্তিগতভাবে রিয়েলিটি শোয়ের অনুষ্ঠান পছন্দ করেন না বলেও জানান। আসলে তিনি মনে করেন এই ধরনের রিয়েলিটি শোয়ের অনুষ্ঠানে প্রকৃত সঙ্গীত সাধনার থেকে চাকচিক্য টাই বেশি হয়।

Related Articles

Back to top button