সিরিয়াল

খড়িকে সবার সামনে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিল ঋদ্ধি! নয়া টুইস্ট গাঁটছড়ায়!

স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’তে ঋদ্ধি আর খড়ির ঝগড়া, ভুল বুঝাবুঝি ধীরে ধীরে ভালোবাসায় রূপান্তরিত হচ্ছে। আসলে মানুষের জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতি তাকে বদলে দেয়, অনেক সময় দেখা যায় যে খুব রুক্ষ কঠিন মানুষটি রাতারাতি বদলে গেলো। তার অন্তরের মধ্য দিয়ে স্নেহের ফল্গু ধারা বইতে শুরু করলো, অনেক সময় আবার দেখা যায় যাকে খুব ভালো ভাবা হচ্ছে সেই রাতারাতি পাল্টে গেল, শত্রুতে পরিণত হলো। গাঁটছড়া ধারাবাহিকেও এখন এমনটাই হচ্ছে।

আরও পড়ুন: দিদি পুরস্কার পেয়েছে এর থেকে ভাল আর কী হতে পারে! মমতা দিদির পুরস্কার পাওয়া নিয়ে উচ্ছ্বসিত শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী কী বললেন জানেন?

যে ঋদ্ধি খড়িকে একদম সহ্য‌ই করতে পারত না, সেই বারবার তার স্ত্রীর পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্ত্রীকে বিপদ থেকে বাঁচাচ্ছে, স্ত্রীর মৃত্যুর কথা শুনে চিৎকার করে উঠছে, আসলে মানুষের মনে যখন কারোর প্রতি ঘৃণা থাকে তখন মানুষ অনেক কঠিন আচরণ করে ফেলে আবার সেই ঘৃণা যখন পরবর্তীতে ভালোবাসায় রূপান্তরিত হয়, তখন মানুষের মধ্যে থাকা সমস্ত খারাপ কিছু বদলে যায়, সে সামনের মানুষটি কেউ তখন গুরুত্ব দিতে শুরু করে। ঠিক এমনটাই হয়েছে সিংহ রায় পরিবারের বড় ছেলে ঋদ্ধিমান সিংহ রায়ের ক্ষেত্রে।

খড়ির বড় বোন দ্যুতিকে ভালোবেসেছিল ঋদ্ধি, কিন্তু ঘটনাচক্রে তার বিয়ে হয় খড়ির সাথে। এই বিয়েকে সে কখনোই মন থেকে মেনে নিতে পারেনি, আবার আত্মমর্যাদা সম্পন্ন খড়িও ঋদ্ধিকে স্বামী হিসেবে ভাবতে পারেনি। তাই বিয়ের সময় থেকে ফুলশয্যার রাত প্রত্যেকটা মুহূর্তে একে অন্যের সাথে ঝগড়া করে গেছে। কিন্তু এই ঝগড়া করতে করতেই তাদের একে অপরের প্রতি কোথাও একটা দুর্বলতা ও তৈরী হয়ে গিয়েছিল, খড়ির সৎ প্রতিবাদী অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মানসিকতা দেখে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিল ঋদ্ধি, যদিও তা সে খড়ির সামনে কখনোই প্রকাশ করেনি তবে হাবেভাবে বোঝা যাচ্ছিল।

আরও পড়ুন: জাতীয় পুরস্কার পেয়েও প্রচারের আলো থেকে বঞ্চিত বর্ষীয়ান অভিনেতা মৃণাল মুখার্জি! আক্ষেপ করলেন মৃণাল কন্যা জোজো

ঋদ্ধিমান এর প্রদর্শনীতে যখন আগুন লেগে যায় তখন সে তার স্ত্রীর কাছে সাহায্য চাইতে আসে, খড়ি স্বামীর বিপদে তার পাশে দাঁড়ায়। অনেক বাধা পেরিয়ে প্রদর্শনীকে সে সফল করে তোলে। এরপর দেখা যায় খড়ি রাহুলকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে অন্যদিকে খড়ির বাপের বাড়ি উচ্ছেদের নোটিশ নিয়ে গুন্ডারা চলে আসে এবং তারা জিনিসপত্র ফেলতে শুরু করে।

খড়ির বাবা এই উচ্ছেদে বাধা দিতে গেলে গুন্ডারা তাকে মারতে যায়, তখন খড়ি বাবাকে গুন্ডাদের কবল থেকে ছাড়াতে ছুটে যায়। এবার দেখা যায় গুন্ডারা তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। খড়ি যখন পড়ে যাচ্ছিল তখন ঋদ্ধি এসে তাকে ধরে।‌ এবার গুন্ডাদের দিকে আগুন জ্বলা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সে। গুন্ডাদের দিকে এগিয়ে যায় এবং সেই গুন্ডার গালে চড় মেরে বলে, আমার স্ত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কী করে হয়! ঘটনার আকস্মিকতায় চমকে যায় খড়ি যে মানুষটি তাকে কোনদিনও স্ত্রী হিসেবে মানেই নি , সেই কিনা সকলের সামনে তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করছে!

Related Articles

Back to top button