‘সারেগামাপার মঞ্চে গুরু নিজেই বেসুরো!’ জোজো বিচ্ছিরি গান গায়, ক্ষোভ প্রকাশ করলেন নেটিজেনদের একাংশ!

সদ্য কিছুদিন আগে শুরু হয়েছে জি বাংলার একটি অন্যতম জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’। এই শো তে গতবার ৩ জন সঙ্গীত গুরু ছিলেন। বর্তমানে ৫ জন রয়েছেন। সঙ্গীত গুরুর ভূমিকায় আগের বারের মতো রয়েছেন ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায় ও মনোময় ভট্টাচার্য। তবে এইবার বাড়তি পাওনা হলো জোজো মুখোপাধ্যায় ও রথীজিৎ ভট্টাচার্যের উপস্থিতি। বিচারকের আসনে এইবার হাজির হয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা রিচা শর্মা, শান্তনু মৈত্র ও শ্রীকান্ত আচার্য। এইবার সবথেকে বড় চমকপ্রদক ব্যাপার হলো পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর উপস্থিতি। গুরুজি হিসেবে এই মঞ্চে তার আবির্ভাব হয়েছে, প্রতিযোগীদের গান শুনে মূল্যবান মতামত দেবেন তিনি, এমনটাই ঠিক হয়েছে। শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন কারণে খবরের হেডলাইনে এসেছে সারেগামাপা।
আরও পড়ুন: প্রিয়মানুষ কে হারালেন হৃত্বিক রোশন! রোশন পরিবারে নেমে এলো শোকের ছায়া
কখনো ইমনকে সারেগামাপাতে দেখে সবাই বলেছেন আবার গতবারের মতো পক্ষপাতিত্ব হবে, তখন আবার দেখা গেছে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী বলছেন, তিনি নিজেও এই সমস্ত রিয়েলিটি শো ব্যক্তিগতভাবে খুব একটা পছন্দ করেন না, কারণ এখানে গুণগত মানের চাইতে চাকচিক্যটাই বেশি প্রকাশ পায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সারেগামাপার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে যেটি ভাইরাল হওয়ার পর নেট মাধ্যম রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে। এদিন বনগাঁর প্রতিযোগী ঐশ্বর্য মঞ্চে গান গাইতে ওঠে। পুরনো দিনের একটি বাংলা গান গেয়েছে সে। তার গাওয়া সেই গান শুনে বিচারকদের যেমন মন ভরে গিয়েছে, তেমনই মন ভরে গিয়েছে সকল দর্শকদের। কিন্তু এই দিন প্রতিযোগীর সাথে আরো একজন মঞ্চে গান গাইতে উঠেছিলেন, তার গান শুনেই চটে গিয়েছেন নেটাগরিকরা, তিনি আবার কোন প্রতিযোগী নন, একজন গুরু।
এইদিন মঞ্চে গান গাইতে উঠেছিলেন জোজো। ঐশ্বর্যর গান শুনে দর্শকরা খুশি হলেও জোজোর গান শুনে কিন্তু মোটেও খুশি হননি তারা। সোশ্যাল মিডিয়া তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। দর্শকদের একটি বড় অংশের মানুষ জানিয়েছেন গায়িকা জোজো মোটেই সুরে গান গাইতে পারেন না। এমনকি তার গান শুনে রীতিমতো সারেগামাপা না দেখার কথাও বলেছেন অনেকে।
অনেকেই লিখেছেন যে, “জোজো রাঘব ইমন, মনোময় এদের মত ফালতু জাজমেন্ট শিল্পীকে রাখার জন্য সারেগামাপা দেখি না।” কেউ আবার সরাসরি লিখেছেন যে, “আগে জোজোকে সুরে গাইতে বলুন। কেউ আবার আরও একধাপ এগিয়ে লিখেছেন আজ পর্যন্ত আমি জোজোকে কোন একটা গান সঠিক সুরে গাইতে দেখলাম না। এত খারাপ গেয়ে ও না-কি বিখ্যাত গায়িকা। সব চ্যানেলেই নানারকম অনুষ্ঠানে ওকে দেখি। কত শক্ত লাইন থাকলে এমন হতে পারে, আরেকজন তো পরিষ্কার লিখে দিয়েছেন যে,“ গুরু নিজেই বেসুরো।” কেউ লিখেছেন,“ অরিজিনাল গানটাকে গানের মতো গায় না আর এ কারণেই ট্রোল হতে হয় গান নিয়ে এত পাকামি করার কি আছে?” অনেকে আবার পরিষ্কার লিখেছেন যে, “গুরুদের নতুন মুখ আনলে ভাল হতো রথীজিৎ কে গুরুর পদে সঠিক হয়েছে।” তবে অনেকেই আবার এর পাশাপাশি লিখেছেন যে, “জোজো ভালো গেয়েছেন”।