সিরিয়াল

ঝিলমের বিশেষ প্রতিভায় মুগ্ধ দাদা! জাহ্নবীকে কী জিজ্ঞেস করলেন ঝিলম!

দাদাগিরি আনলিমিটেড সিজন নাইন মানেই তাতে চমক রয়েছে। এইবারও সেই চমক নিয়ে হাজির হয়েছিলো আরেকটি এপিসোড। যেখানে দাদাগীরির মঞ্চে দেখা যায় জাহ্নবী কাপুরকে। এখানেই শেষ নয় শ্রীদেবী-কন্যা জাহ্নবী কাপুরের সাথে এইদিন জনপ্রিয় ইউটিউবারদেরকেও দাদার মঞ্চে দেখা যাচ্ছিলো, যাদের মধ্যে ছিলেন বং গায় এবং ঝিলম গুপ্ত। ইউটিউবার ঝিলম গুপ্ত ইউটিউব চ্যানেলে মানুষকে হাসান, এইবার দাদার মঞ্চে এসেও তিনি সকলকে হাসিয়ে গেলেন।

আরও পড়ুন: বাড়ি তো নয় রাজবাড়ি! কুঁড়ে ঘর থেকে আজ লক্ষ লক্ষ টাকার বাড়ি ভুবন বাদ্যকরের! অন্দরসজ্জার অভিনবত্ব দেখলে মাথা ঘুরে যাবে!

ঝিলম এই দিন শুধু মুখে গানের সুর তুলে গেলেন, মোনালি ঠাকুর এর গাওয়া গান ‘মেরে মোহ মোহকে ধাগে’ গানের সুর তুললেন তিনি। ঝিলমের এই বিস্ময়কর প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলেন দাদা, তিনি স্বীকার করলেন, ঝিলামের কাছে বাঁশিও হার মেনে যাবে। এরপর দাদা বলেন তার ফেসবুক চ্যানেলের সাড়ে চার লাখ ফলোয়ার এর পিছনের রহস্য কী? ঝিলম উত্তর দেয়, এর পিছনে একটি কারণ তা হল সিম্প্লিসিটি। দাদা তখন বলেন, তোমার কমেডি ক্যারেক্টার‌ও তো রয়েছে। ঝিলাম তখন বলেন কমেডি তো রয়েছেই কিন্তু সিম্প্লিসিটিটাই মেন। কারণ আমরা প্রত্যেকেই ভীষণ সাধারন তাই সাধারনত্বের মোড়কে কোন কিছু দিলে তা মানুষ খুব সহজেই নিজেদের সাথে রিলেট করতে পারেন। তাই আমার ভিডিওগুলো বানাতে চেয়েছিলাম। আমার ইউটিউবভিডিও গুলো সেইভাবেই বানানো, যেন ঘরে বসে কথা বলছি বা আলোচনা করছি।

ঝিলম জানান তিনি চারপাশে যা দেখেন তা থেকেই ফেসবুক ভিডিও বানান। এরপর দাদা দিন করেন এখন চারপাশে কী দেখতে পাচ্ছো? ঝিলম তখন বলেন, এখন চারিদিকে তাকালে পাতি লেবু দেখতে পাই। দাদা তখন হাসতে হাসতে বলেন, হ্যাঁ লেবুর একটা পিস ১৫ টাকা করে। গরম যত বাড়ছে ততোই লেবুর দাম বাড়ছে। ঝিলম বলে, সেই কারণেই তো এখন সোনার দোকানে লেবু রাখা হচ্ছে আর লেবুর দোকানে সোনা রাখা হচ্ছে। ঝিলমের এই কথা শুনে দাদা শুদ্ধ সকলে হেসে ওঠে।

আরও পড়ুন: পিঙ্কির এন্ট্রি আর শ্রীতমার বিদায়!শ্রীকে আর দেখা যাবে না মিঠাইতে মূল ট্র্যাক থেকে সরে যাচ্ছে মিঠাইয়ের গল্প!

এর পাশাপাশি ঝিলম আরো বলেন যে, এখন সবকিছুই অনেক বদলে গেছে, অনেক মর্ডান হয়ে গেছে, আগে হাসপাতালে যেতে গেলে অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নিতে হতো এখন সেলুনে যেতে গেলেও আগাম অ্যাপার্টমেন্ট নিতে হয়। লোকে আবার এখন সেলুনকে সেলুন বলে না বলে স্যালো। সেখানেও এসি হয়ে গেছে, তাই সবের মধ্যে ডিফারেন্ট থাকতে হলে সিম্পল থাকতে হবে। এরপর ঝিলাম দাদাগিরির বিশেষ অতিথি জাহ্নবী কে জিজ্ঞেস করেন, আপনাদের তো খুব বড় পরিবার আপনারা যদি অভিনয়ে না আসতেন তাহলে কী হতেন? জাহ্নবী তখন বলেন, আমি ট্রাভেলার হতাম।

এরপর ঝিলম বলেন, আর অনিল কাপুর কী হতেন? জাহ্নবী বলেন,এটা আমি ভাবতেও পারি না অনিল কপুর অ্যাক্ট্রেস ছাড়া আর কিছু হতে পারে। এরপর দাদা জাহ্নবীকে জিজ্ঞেস করে, ওনার আসল বয়স কত ৬৫? তখন জাহ্নবী বলেন, না, না, ওনার আসল বয়স বললে উনি রেগে যাবেন তার বয়স এখনও কুড়ি। এই কথায় সবাই হেসে ওঠে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ঝিলম জাহ্নবীকে বড় পরিবার বোঝাতে ‘হেভিওয়েট ফ্যামিলি’ কথাটি বলেছিল হিন্দিতে যা শুনে জাহ্নবী বলে বসেন, আপনি মোটা বলছেন আমাকে? ঝিলম বলেন, না না আমি একদম‌ই তা বলিনি। এই কথায় আবার হাসির রোল ওঠে।

Related Articles

Back to top button