সুদীপের থেকে ২৪ বছরের ছোট পৃথা, ডিভোর্সি পাত্রের সাথে মেয়ের বিয়ে নিয়ে সিক্রেট ফাঁস করলেন মা!

ছোট পর্দার ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় নাম সুদীপ মুখোপাধ্যায়। অনিন্দ্য নামক চরিত্র তাঁকে অভাবনীয় জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে। শ্রীময়ী নামক সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। তবে এবার একেবারে বাস্তব জীবনের সঙ্গিনীকে নিয়ে সুদীপ হাজির হলেন স্টার জলসার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘ইস্মার্ট জোড়ি’র মঞ্চে। স্ত্রী পৃথা চক্রবর্তীকে সাথে নিয়ে জনপ্রিয় এই রিয়েলিটি শো এর মঞ্চে দেখা গেলো তাঁকে। মঞ্চে ফাঁস হলো বহু অজানা কথা দুজনের ব্যক্তিগত জীবন সংক্রান্ত।
আরও পড়ুন: আলিয়া ও কঙ্গনার শাড়ির ডিজাইন একেবারে হুবহু এক! নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী
সুদীপের বিবাহিত জীবনে বিচ্ছেদের কথা সবারই জানা। তিনি পৃথার আগে অন্য একজনের সাথে ঘর বাঁধলেও সেই সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত টেকেনি। দুজনের ডিভোর্স হয়েছিল। সেইসময় একদিকে সম্পর্কের বিচ্ছেদের কষ্ট অন্যদিকে জীবনে নতুন প্রেমের আবহ নিয়ে পৃথার প্রবেশ ঘটে। পৃথার সাথে তাঁর আলাপ হয়েছিল ফেসবুকের মাধ্যমে। দুজনের মধ্যে বয়সের বিস্তর ফারাক থাকার পরেও বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি।
পেশাগত ভাবে পৃথা এখন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। সুদীপ পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর নাচের শো দেখতে। বন্ধুত্ব থেকে সম্পর্ক প্রেমের দিকে এগোয়। ২৪ বছরের বয়সের পার্থক্য তাদের জীবনে কোনো বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পৃথা সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলে ২৪ বছরের বড়ো, ডিভোর্সি সুদীপকে বিয়ে করার জন্য। সুদীপের ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলেও পৃথার ক্ষেত্রে তেমনটা নয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবে একদিকে বয়সের পার্থক্য অন্যদিকে ডিভোর্সি সব নিয়ে পৃথার পরিবারের পক্ষ থেকে একটা বাধা প্রথমে ছিল। রবিবার ইস্মার্ট জোড়ি’র মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেই কথাই ফাঁস করেছিলেন পৃথার মা।
আরও পড়ুন: বাংলা নববর্ষের প্রারম্ভে দর্শক টানছে বাংলা ছবিগুলি, ফের প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবি দেখার হিড়িক পড়েছে
পৃথার মা হাজির হয়েছিলেন শোতে। রিয়েলিটি শো এর সঞ্চালক অর্থাৎ জিৎ জিজ্ঞ্যেস করেন তিনি কিভাবে মেনে নিয়েছিলেন বিয়ে টা কে, ডিভোর্সি, বয়সের পার্থক্য সব জেনেও কি কোনো আশঙ্কা কাজ করেনি? উত্তরে সুদীপের শাশুড়ি জানিয়েছেন, প্রচন্ড করেছিল, এমনকি তিনি এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে এমন একটি সিক্রেট ফাঁস করেছেন যা আজ পর্যন্ত তিনি তাঁর মেয়েকেও জানতে দেননি। তিনি মেয়ের বিয়ে নিয়ে পৃথার প্রাক্তন স্ত্রীর কাছে পর্যন্ত গিয়েছিলেন, ডিভোর্সের আসল কারণ জানতে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি সব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই জুটি কাটিয়ে ফেলেছেন ছয় বছর। দুই সন্তান , স্বামী স্ত্রী মিলে একেবারে সুখী গৃহকোণ।
View this post on Instagram