টাটকা ফল সবজি চেনাতে ছোট্ট আদিদেবকে বাজারে নিয়ে যান মা সুদীপা! সেখানে পুঁচকে মাকে সাহায্য করে বাজার করতে!

জি বাংলার জনপ্রিয় রান্নার শো ‘রান্নাঘর’ এর সঞ্চালিকা হিসেবে কাজ করেছিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়। এই রান্নার শো রাতারাতি তাকে বিখ্যাত করে তোলে, সাধারণ মানুষের বাড়ির ড্রইং রুমে পৌঁছে যান তিনি এই শোয়ের দৌলতে। পরবর্তীতে পরিচালক অগ্নিদেব চ্যাটার্জিকে বিয়ে করেন তিনি , এরপর একাধিক ছবিতে অভিনয়ের সাথে সাথে পরিচালনার কাজেও হাত লাগিয়েছেন তিনি। জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভীষণ সক্রিয়। নিজের জীবনের হাসি-আনন্দ সহ নানা ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাগ করে নেন তিনি।
আরও পড়ুন: আবিরের প্রত্যাখানের পর জিতু হলেন অপরাজিত! কিন্তু কেন অপরাজিত ফিরিয়েছিলেন আবির?
মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের বক্তব্য, বিভিন্ন ক্ষেত্রে কুৎসিত ট্রোলিং এর জবাব দেওয়ার পাশাপাশি নিজের অনুরাগীদের সাথে ব্যক্তিগত জীবনের নানা কথাও ভাগ করে নেন তিনি। কখনো ছবি শেয়ার করেন কখনো বা ভিডিও শেয়ার করেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি তার জীবনের একটি ব্যক্তিগত ঘটনার কথা আবারও অনুরাগীদের সাথে ভাগ করে নিলেন সুদীপা চট্টোপাধ্যায়।
পরিচালক অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায় এবং তার সন্তান আদিদেব এখনো খুব ছোট। কিন্তু এই বয়সেই বাজার করতে পটু হয়ে উঠেছে সে আর সেই কথাই অভিনেত্রী জানালেন সকলকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে ছেলে আদিদেব এর বেশ কিছু ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী যেখানে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট আদিদেব সকাল সকাল বাজারে বাজার করতে চলে গিয়েছে। বাজারে গিয়ে মাকে বিভিন্ন রকম ফল কিনতে সাহায্য করছে সে। আসলে এই সবটাই সুদীপা ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছেন। ক্যাপশনে তিনি জানিয়েছেন ও সে কথা।
ছোট থেকেই আদিদেব যাতে টাটকা ফল ও সবজি কিনতে পারে সেই কারণে তাকে রোজ বাজারে নিয়ে যান অভিনেত্রী আর সেখানে গিয়েই আদিদেব মাকে ফল কিনতে সাহায্য করেছে বলে জানাচ্ছেন সুদীপা। তবে এটি প্রথমবার নয়, এর আগে মায়ের রান্নাঘরে উপস্থিত হয়ে মায়ের রান্নার কাজে সাহায্য করতে দেখা গিয়েছিল ছোট্ট আদিদেব কে। এখন মায়ের বাজার করার কাজেও সাহায্য করছে সে, ছোট্ট আদিদেব কে এইভাবে দেখে সকলে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছেন। মোবাইল ফোন বা অন্য কিছুর আসক্তির ছেড়ে এইভাবে মাকে কাজে সাহায্য করা দেখে সকলে মুগ্ধ। বাচ্চাদেরকে যদি ছোট থেকেই এই ভাবে ট্রেন করা যায় তাহলে সেটা খুব ভালো ফল দেবে বলে উল্লেখ করেছেন নেটাগরিকরা। একই সাথে অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, আদিদেবকে দেখে মনে হয় বড় হয়ে সেও মায়ের মত রান্নার প্রতি হেঁশেলের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে।
View this post on Instagram