এবারে বাংলা ধারাবাহিকের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো বাংলার ঐতিহ্যবাহী শিল্প, ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিক নিয়ে গর্বিত ধারাবাহিকের ভক্তরা

বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিক গুলি খুব সহজেই মানুষের মধ্যে মিশে যেতে পারে। মানুষের রোজকার জীবনে নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে এই ধারাবাহিকগুলি। সব ধারাবাহিকেই সাংসারিক কূটকচালি, নায়ক নায়িকার প্রেম, খলনায়ক খলনায়িকার শয়তানি দেখানো হয়ে থাকে। তবে এবারে স্টার জলসা অন্যতম একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গাঁটছড়া তে তুলে ধরা হলো বাংলার শিল্পকে। এই প্রথমবার কোন বাংলা ধারাবাহিকে বাংলা শিল্পকে এত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হলো সকলের সামনে।
আমাদের প্রতিটি বাঙালির কাছেই বাংলার শিল্প ও সংস্কৃতি, শিক্ষা, পোশাক আশাক, খাবার দাবার সবকিছুই অত্যন্ত গর্বের। সবকিছু নিয়েই আমরা খুব গর্ববোধ করি। কিন্তু বর্তমান সময় যেন কোথায় বাংলার সেই শিল্প ও সংস্কৃতি গুলি হারিয়ে গেছে আধুনিকতার মাঝে। বিদেশী রীতিনীতি আদব-কায়দা পোশাক-আশাক আমরা বেশি করে রপ্ত করছি। কিন্তু বাংলার সেই ঐতিহ্যকে আমরা নিজেরাই হারিয়ে ফেলছি। কিন্তু এবার বাংলার শিল্প ঐতিহ্য কে আবার ধারাবাহিকের মাধ্যমে তুলে ধরল গাঁটছড়া।
বর্তমানে স্টার জলসার সবথেকে জনপ্রিয় ধারাবাহিক বলতে প্রথমেই যার নাম মাথা আসে তা হল গাঁটছড়া। ক ঋদ্ধিমানের জুটি ছাড়াও ধারাবাহিকে অন্যান্য চরিত্র এবং জুটিগুলি দর্শকের বিশেষ পছন্দের। প্রতিটি চরিত্রই বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই ধারাবাহিকে। ধারাবাহিকের প্রথমেই দেখানো হয় একজন অত্যন্ত সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে হলো খড়ি ভট্টাচার্য। তার বাবার দশকর্মার দোকান। সেই দোকানের দায়িত্ব সামলায় খড়ি। খড়ির হাতের কাজ দুর্দান্ত। ছবি আঁকা থেকে শুরু করে নকশা কাটা, শোলার মুকুট বানানো, সরা আঁকা সবকিছুই তার ভালো মতন রপ্ত করা। এক কথায় বাংলার একটা শিল্প খড়ি নিজের কাজের মাধ্যমে তুলে ধরে সব সময়। সেই খড়ি বিয়ে হয়ে আসে সিংহরায় বাড়িতে। যাদের অনেক বড় জুয়েলারির ব্যবসা। সম্প্রতি কিছুদিন আগে ধারাবাহিকে দেখানো হয়েছিল খড়ি নিজের হাতের কাজের একটি এক্সিবিশন করে সিংহ রায় বাড়িতে। সেখানে খড়ির হাতের তৈরি মাটির গয়না শাড়ি আরো অনেক কিছু পাওয়া যাচ্ছে। যা দেখে মুগ্ধ সকলেই।
এবারে সিংহ রায় জুয়েলার্সের কিছু নতুন গয়নার ডিজাইন দেখতে বিদেশ থেকে এসেছে এক ব্যক্তি। কিন্তু বিদেশীর ডিজাইন দেখতে দেখতে তার চোখ পচে গিয়েছে। যার ফলে তার সেই সমস্ত ডিজাইন আর মনে ধরছে না। কিন্তু এদিকে খড়ির হাতের কাজে তিনি মুগ্ধ। খড়ির হাতে তৈরি মাটির গয়নার ডিজাইন তাকে মুগ্ধ করে দিয়েছে। আর এতে যে শুধু সিংহরায় বাড়ির মুখ উজ্জ্বল হয়েছে তা নয় বাংলার মানুষও বেশ গর্ববোধ করেছে নিজেদের শিল্প নিয়ে।