বিনোদন

‘দুই পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাবে’ বিহারের প্রতিবন্ধী মেয়েকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সোনু!

সোনু সুদ মানেই গরীবের ভগবান। পর্দার খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেতা বাস্তবে সকলের চোখে হিরো হয়ে ওঠেন করোনাকালীন সময়। করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের দেশের মাটিতে ফেরানো থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে রাতারাতি দেবদূত হয়ে উঠেছেন সোনু সুদ। তার এই নিঃস্বার্থ জনহিতকর কাজের জন্য মানুষ তাকে ভগবানের আসনে বসিয়ে দিয়েছে, বানিয়েছে তার মূর্তি ও। সম্প্রতি গরিবের মসিহা সোনু সুদ আবার ও তার মানবদরদী রূপ প্রকাশ করলেন‌‌। গরিব দুঃখীর জন্য তার হৃদয়ে যে সবসময় কাঁদে তার প্রমাণ আরো একবার পাওয়া গেল।

আরও পড়ুন: উচ্ছেবাবু আদৃতের জন্মদিন কাটলো ভক্তের আনা পায়েস ও পুজোর প্রসাদ খেয়ে! ভক্তদের ভিড়ে মিঠাইয়ের সিড!

বিহারের প্রতিবন্ধী মেয়ে সীমার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সোনু। সম্প্রতি বিহারের মেয়ে সীমার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সীমা গ্রামের একটি সরকারি স্কুলে পড়ে, একটি সড়ক দুর্ঘটনায় সে তার একটি পা হারিয়েছে। কিন্তু একটি পা হারালেও নিজের মানসিক দৃঢ়তা হারায়নি সে। নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এক পায়ে ছুটে চলেছে বিহারের সীমা। এই সীমার ভিডিও দেখার পর নেটাগরিকরা রীতিমতো চমকে উঠেছেন।

সীমার ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সীমার একটি পা নেই। তবু তাতে কিছু যায় আসে না তার, স্কুল ড্রেস পরে এক পা দিয়েই কষ্ট করে হাঁটছে সে, এই ভাবেই সে রোজ স্কুলে যায়। তার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। এক পায়ে হাঁটতে কষ্ট হলেও হার মেনে নেয় নি সে, কষ্টের সঙ্গে লড়াই করে সীমা নিজের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছে, পড়াশোনা করার স্বপ্ন, বড় হয়ে শিক্ষিকা হওয়ার স্বপ্ন।

আরও পড়ুন: নিউ ইয়র্কে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার খোলা রেস্তোরাঁয় একটা সিঙ্গারার দাম ১০০০ টাকা! ভারতীয় অন্যান্য মেনুর দাম কত?

সীমার এই ভিডিও ভাইরাল হতেই সোনু সুদ টুইট করে মেয়েটির উদ্দেশ্য নিজের সাহায্যের কথা জানান। টুইটে তিনি লেখেন,“এখন সে আর একটি নয়, দুই পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুলে যাবে। এবার টিকিট পাঠাচ্ছি, দুই পায়ে হাঁটার সময় এসেছে।” এই ভাবেই আরো একবার গরীবের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেল রুপোলি পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেতা কে।

সীমার বাবা ক্ষীরন মাঝি অন্য একটি শহরে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যান আর সীমার মা একটি ইট ভাটায় কাজ করেন। সংসারের দারিদ্র অভাব-অনটন লেগেই আছে তবে তার মধ্যেই কষ্ট করে পড়াশোনা করছে সীমা। অভাব, প্রতিবন্ধকতা কোন কিছুই তাকে আটকাতে পারেনি তার লক্ষ্য থেকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যে নির্মাণ মন্ত্রী অশোক চৌধুরী ও সীমাকে সাহায্য করার আশ্বাস ঘোষণা করেছেন।

Related Articles

Back to top button