‘ক্ষমা করে দিস মা! ‘ – নিজের মেয়ের কাছে কি কারণে ক্ষমা চেয়ে নিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র

টলিউড জগতের বেশ পুরোনো একজন অভিনেত্রী হিসেবেই সুপরিচিত তিনি। এবার তিনিই মা রূপে নিজের মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন! কিন্তু কেন? এতক্ষণ যাঁর কথা বলছি তিনি হলেন অভিনয় থেকে গ্ল্যামার জগৎ সবদিকে বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। নিজেকে বোল্ড অবতারে দেখতেই বোধহয় বেশি পছন্দ করেন তিনি। তাইতো ৪৬ বছরে পা দিয়েই সবরকম ড্রেসেই দর্শকদের সামনে আসতে পছন্দ করেন তিনি। তবে এই নিয়ে কম ব্যাঙ্গের শিকার বা কম কটূক্তি শুনতে হয়নি তাঁকে। তবে , ‘কুছ পরোয়া নেহি,’ এমন মনোভাব নিয়েই একা হাতে তিনি অভিনয় , নিজের মেয়ে তার সাথে বিভিন্ন বিতর্ককে সামলেছেন।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র সদ্যই আগের বছরে নিজের সবথেকে কাছের মানুষ বাবাকে হারিয়ে বেশ ভেঙ্গেও পড়েছিলেন। বর্তমানে তাঁর একমাত্র সম্বল বলতে একমাত্র মেয়ে ঐশী। তাকে আঁকড়ে ধরেই অভিনেত্রীর বেঁচে থাকা। শ্রীলেখা কন্যার একটি ব্যতিক্রমী বিষয় হলো অন্যান্য স্টার কিডদের মতো সে কিন্তু ক্যামেরার সামনে বা অতিরিক্ত লাইমলাইটে থাকতে অপছন্দ করে। ঐশী এবার ১৬ বছর বয়সে পা দিয়েছে আর মেয়ের জন্মদিনে উইশ করতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী।
মেয়ের জন্য লিখতে বসে প্রথমেই মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন তিনি। ক্ষমা চাওয়ার কারণও অবশ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রী, মাত্র ৮ বছর বয়স থেকেই মাইয়্যা তার বাবা মাকে একসাথে পায়নি। শ্রীলেখা শিলাদিত্যের বিচ্ছেদের পর থেকেই মা বাবাকে আলাদা হিসেবেই দেখে এসেছে সে। সেই অভিমান হয়তো মনের মধ্যে পুষে রাখতে পারে মেয়ে তাই আদরের মেয়ের জন্মদিনে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ক্ষমা চেয়ে তিনি লিখেছেন, ‘ক্ষমা করে দিস মা! তোকে আমি আদর্শ ছেলেবেলা দিতে পারিনি।’ মেয়ের এত বছর বয়সের পর নিজেরই শাড়ি গয়নায় মেয়েকে সাজতে দেখে তিনি অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হয়ে এইসব কথা লিখে ফেলেছেন। নিজের মেয়েকে দেখে তাঁর নিজের চোখকে যেনো বিশ্বাস করাতে পারেননি।
মেয়েকে বরাবর সমস্ত রকম ঝগড়া ঝাঁটি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে নিজের প্রাক্তন স্বামীর সাথেও ঘরের দরজা বন্ধ করে ঝগড়া করতেন তিনি। এমনকি বিচ্ছেদের সময়েও মেয়ের ওপর সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে তিনি বলেছিলেন,যখন যার সাথে থাকতে ইচ্ছে করবে তার সাথেই যেনো থাকে মেয়ে। এমনকি মেয়ের বাবার সাথে থাকতে মন করলে নিজেই ব্যাগ গুছিয়ে পাঠিয়ে দিতেন।
এমন ভালো মেয়ের জন্য গর্ব করা সাজে তাইতো তিনি জানিয়েছেন, সবক্ষেত্রে মেয়ের সব ইচ্ছে যে পূরণ করা সম্ভব হয়েছে তা মোটেই নয় কিন্তু তার জন্য মাইয়্যা কখনও কোনো নালিশ জানায়নি মায়ের কাছে। ট্যাব, নোট প্যাডের আবদার জানায়নি কোনোদিন মায়ের কাছে উলটে চুল বাঁধা থেকে ক্রিম মাঝ সবটাই না বলে দিলে করে ওঠেনা মেয়ে। এইসবের থেকে বরং ভালো ছবি বা পড়াশুনোর দিকে অধিক ঝোঁক মেয়ের তাই স্বীকার করেছেন তিনি। একা হাতে মেয়েকে সামলে তিনি একা মা হওয়া শিখেছেন এইভাবেই।