গসিপ

টুইটারে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন অমিতাভ! এক ‘ভয়ঙ্কর ভুল’ করেছেন তিনি, আলটপকা পোষ্টের কারণে হাসির খোরাক বলিউড বিগবি! জানেন ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে এই ভুলের জন্য?

ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়া(Social Media) সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকাদের কাছেও এক ইন্টারেস্টিং বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন সোশ্যাল মিডিয়া এমন এক মাধ্যম যেখানে খুব সহজে লোকের খুব কাছাকাছি পৌঁছানো যায়। আর ভক্তদের সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে পারার লোভ কোন তারকা সামলাতে পারেন? যে কারণে বর্তমানে হলি ,বলি কিংবা টলি সমস্ত তারকারাই নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে জন্য এই মাধ্যমটিকে বেছে নিয়েছেন।

তবে এই তালিকা থেকে বাদ যান না বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন(Amitabh Bachchan)। এর পাশাপাশি তিনিও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে বেশ পারদর্শী। বিশেষ করে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াটাকে ভীষণ সিরিয়াস ভাবে নিয়ে নিয়েছেন। আর তাতেই নিজের টুইটারে এক ভয়ানক ভুল করে বসলেন তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে অমিতাভ বচ্চন যে ভীষণ সিরিয়াস এই ব্যাপারটাকে নিয়ে বেশ মজা করেন তার মেয়ে শ্বেতা নন্দা এবং নব্যা নাভেলি। এই নিয়ে বেশ হাসি মশকরা করেন তারা। তবে এবার খোদ অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু হলো নেট পাড়াতে। বিগবি নিজেই এর জন্য কিছুটা দায়ী।

সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের এক দোষ প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। এবং তারপর সেটা নিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন তিনি। ঠিক কি লিখেছিলেন তিনি পোস্টে? বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন তার টুইটারে (Tweeter)একটি পোস্ট লিখেছেন,’ টি ৪৫১৫ একটি ভয়ঙ্কর ত্রুটি। আমার সমস্ত টি নম্বর ভুল হয়েছে শেষের সঠিক টি- ৪৫১৫ কে ছাড়া( এটা সঠিক)। তারপরের সবগুলো ভুল। টি ৫৪২৪, ৫৪২৫, ৫৪২৬, ৫৪২৭ ,৫৪২৮, ৫৪২৯, ৫৪৩০। উচিত ছিল ৪৫১৫, ৪৫১৬, ৪৫১৭, ৪৫১৮, ৪৫১৯, ৪৫২০, ৪৫২১ ক্ষমা চাইছি।’

প্রসঙ্গত অমিতাভ বচ্চন যেদিন থেকে টুইটার ব্যবহার করছেন সেদিন থেকেই তার প্রত্যেকটি পোষ্টের আগে ক্রমিক সংখ্যা ব্যবহার করেন। তবে বর্তমান সময়ে টুইটের ক্রমিক সংখ্যায় কিছু গন্ডগোল দেখা দিয়েছে এবং সেটিকেই ভয়ঙ্কর ত্রুটি বলে শুধরে নিয়েছেন তিনি।

আর এই ব্যাপার সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ্যে আসতেই তাকে নিয়ে হাসাহাসি শুরু হয়েছে। একজন লিখেছেন,’ ধন্যবাদ স্যার সবটা ঠিক করে দেওয়ার জন্য। আমি খুবই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম ব্যালেন্স শিট কেন মিল ছিল না’। অপর একজন লিখেছেন ভাগ্যিস স্যার আপনি সঠিক সময় সবটা ঠিক করে নিলেন না হলে আমার রাতের ঘুম হতো না।’ একজন তো আবার লিখে ধরেছেন,’ জানেন কত বড় ভুল হয়ে যেত কাল বাজারে ধ্বস নামতো এই ভুলের জন্য’।

একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী আবার অমিতাভ বচ্চনের ‘অ্যাপোলোজি’ বানান শুধরে দিয়ে পরবর্তী ‘টি ৪৫১৬ অ্যাপোলজি’ পরামর্শ দিয়েছেন। কেউ লিখেছেন হয়তো বয়সজনিত কারণেই এই ধরনের ভুল হচ্ছে অমিতাভের। তবে সে যে কারণই হোক। অমিতাভের এই ভুল এখন হাসির খোরাক নেট দুনিয়াতে।

Related Articles

Back to top button