কালো ছেলের ফর্সা বউ দেখে ভয়ঙ্কর ট্রোল করার পর সেই ছেলের পরিচয় জেনে মাথায় হাত পরল সবার!

যুগ যতই এগিয়ে যাক না কেন, কিছু মানুষের মানসিকতা এখনও পিছনেই পড়ে আছে। একুশ শতকে দাঁড়িয়েও মানুষ দাঁড়িপাল্লার হিসেবে রূপ এবং চেহারাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। মুখে যতই বলুক চেহারায় কিছু যায় আসে না, মাথায় কিন্তু কাজ করে সেই চিরাচরিত প্রবাদ, পেহেলে দর্শনধারী ফের গুণবিচারী। তাই এখনো শ্যাম বর্ণা কাউকে দেখলে ভ্রু কুঁচকায় মানুষ, নানান রকম কথা বলেন।
বিশেষত দম্পতির ক্ষেত্রে, যদি দেখা যায় একজনের গায়ের রং খুব পরিষ্কার এবং অপরজনের গায়ের রং খুব ময়লা তখন স্বাভাবিক ভাবেই এই তুল্যমূল্য বিচার শুরু হয়ে যায়। একজন শ্যাম বর্ণ মানুষের পাশে একজন গৌরবর্ণ মানুষকে দেখলেই নানান রকম টিটকিরি, কুৎসিত মন্তব্য শুরু হয়ে যায়। যুগ এগোলেও আজও সেই প্রাচীন যুগেই পড়ে আছে চিন্তাভাবনা, মানসিকতায়,কুসংস্কারে। কিছুদিন আগে এক দম্পতির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছিল।
সেই দম্পতির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ট্রোলিং করা হচ্ছে। কারণ উভয়ের ছবির মধ্যে গায়ের রংয়ের বৈপরীত্য। ছবিতে দেখা যাচ্ছে পুরুষের গায়ের রংটি অত্যাধিক কালো আর মহিলার গায়ের রংটি অসম্ভব রকমের পরিষ্কার, সাদা,ধবধবে। যা নিয়ে ভয়ঙ্কর রকমের ট্রোলিং শুরু হয়ে যায়। এত কালো ছেলে এতো ফর্সা মেয়ে পেল কীভাবে তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় ট্রোলিং। শ্যামবর্ণ ঐ মানুষটির পরিচয় না জেনে তাকে চূড়ান্ত ভাবে অপমান করা শুরু হয়ে যায়। এরপর জানা যায় শ্যামবর্ণ মানুষটির আসল পরিচয় যা জেনে মাথায় হাত পরে সকলের।
ভাইরাল ছবিতে থাকা শ্যাম বর্ণ লোকটি হলেন আটলি কুমার। অ্যাকশন ছবির জন্য বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত পরিচালক ও চিত্রনাট্য লেখক তিনি আর তার স্ত্রী হলেন দক্ষিণ ভারতের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃষ্ণা প্রিয়া। ১০ বছর প্রেম করার পর তারা বিয়ে করেছেন একে অপরকে। গত আট বছর আগে ২০১৪ সালে ৯ নভেম্বর তিনি বিয়ে করেন প্রিয়াকে। বর্তমানে শাহরুখের আসন্ন ছবি জাওয়ানের পরিচালনা করছেন আটলি কুমার।
ইতিমধ্যে সেই ছবির প্রোমো প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, গোটা মুখে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শাহরুখ একটি অন্ধকার স্যাঁতসেতে ঘরে রয়েছেন। সেই ঘরে সাজানো রয়েছে অস্ত্রশস্ত্রে সম্ভার। ছবিটি যে অ্যাকশনে পরিপূর্ণ হবে তা প্রোমো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ছবিটির প্রোমো প্রকাশিত হওয়ার পর সকলেই এই ছবির প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।