ডান চোখে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে এবং অচল কিডনি নিয়েও কাজ করে গেছেন ‘বাহুবলী’ ছবির খলনায়ক ভল্লালদেব

‘বাহুবলী : দ্য বিগনিং’ (২০১৫) মুক্তি পাওয়ার পর সারা ভারতবর্ষে ছেয়ে গিয়েছিল সাউথ ইন্ডাস্ট্রির নাম। ছেয়ে গেছিল বাহুবলী প্রভাসের নাম, দেবসেনা অনুষ্কা শেট্টীর নাম, শিভগামী রাময়্যা কৃষ্ণানের নাম, আর ভল্লালদেব রানা দাগ্গুবাতির নাম। এস. এস. রাজামৌলির ১৮০ কোটি টাকার মাস্টারপিস যেই সিনেমা, তার খলনায়ক ভল্লালদেব সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন তাঁর জীবনের নানান সংগ্রাম।
সাক্ষাৎকারে তিনি যে লড়াই, যে সংগ্রামের কথা জানান তা কেবল শারীরিক সংগ্রাম না একাধারে মানসিকও বটে। ডান চোখের কর্নিয়া পুরোপুরিভাবে হয়ে গিয়েছিল নষ্ট, তা সত্ত্বেও সেই চোখ নিয়ে শ্যুটিং চালিয়ে গেছেন তিনি। যতই তিনি সাউথের বিখ্যাত তারকা হোন না কেন কর্নিয়ার সঠিক ম্যাচ খুঁজে পেতে সময় লাগে। কিডনি সম্পর্কেও জানান তাঁর একটি কিডনি পুরোপুরিভাবে অচল হয়ে পড়েছিল। ফলে আগের মতোন এনার্জেটিক ওয়েতে কাজ করতে পারতেন না।
পরে নতুন কর্নিয়া এবং কিডনি উভয়ই প্রতিস্থাপিত হয় দাগ্গুবাতির, তবে এরপর থেকেই শুরু হয় তাঁর মানসিক সংগ্রাম। পুরোপুরি ফিট হতেও সময় লেগে যায় তাঁর। বাহুবলীর মাসকিউলার (Muscular) শরীরটি ফিরে পেতে প্রত্যেকদিন জিমে দিয়েছেন কয়েক ঘন্টা বেশি। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে জানান যে লড়াই যেরকমই হোক না কেন, একবার ভেঙে পড়লেই সব শেষ।
তোমার চারপাশে যারা আছে, যারা তোমাকে শর্তহীনভাবে ভালোবেসে গেছে তাঁদের কথা ভেবে উঠে দাঁড়াতে হবে, তাঁরা যেমন আমার পাশে দাঁড়িয়েছিল আমাকেও দাঁড়াতে হবে তাঁদের পাশে। দাগ্গুবাতির এই প্রেরণামূলক সাক্ষাৎকার ঝড়ের মতো ছেয়ে গেছে ইন্টারনেটে। তিনি তাঁর এক ইচ্ছা বা স্বপ্নের কথাও জানান, বলেন তিনি চান সারা ভারতবর্ষের মুখে যেন সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির নাম থাকে সবসময়।
২০২৩ এর অস্কারে যেন তাঁরই সাথে আরো কোটি কোটি ভারতীয়ের স্বপ্নপূরণ হল। রাজামৌলির ‘আর আর আর’ (RRR) পেয়েছে বেস্ট অরিজিনাল সং-এর অস্কার। আর ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপরারস্’ পেয়েছে সেরা তথ্যচিত্রের জন্য অস্কার। বলা বাহুল্য সাউথ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিই ভারতকে এনে দিয়েছে এই দুটি অস্কার।