“ব্রিটিশদের চাটুকারিতা করে সো-কল্ড বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের বাপ-দাদার রক্ত চুষে খাচ্ছিলো”! নিজের মুখের লাগাম হারিয়ে মাত্রা ছাড়িয়েছেন বাংলাদেশী নোবেল

নোবেল নামটি বিতর্কের ক্ষেত্রে বেশ জনপ্রিয়। বহু ঘটনা নিয়ে নিজের মন্তব্য ব্যক্ত করে সমালোচনার শিকার হন গায়ক। যিনি বাংলাদেশের নোবেলম্যান নামেও পরিচিত। মাইনুল আহসান নোবেল পেশায় একজন বাংলাদেশী সংগীত শিল্পী, প্লেব্যাক গায়ক এবং ইউটিউবার। ভারতীয় একটি গানের রিয়েলিটি শোতে পার্টিসিপেট করে বেশ নজর কেড়েছিলেন গায়ক। কিন্তু আমাদের জাতীয় কবিকে বারবার অপমান করছেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এইসব বিষয়ে গায়কের জুড়ি মেলা ভার। বেশ কিছু ক্ষেত্রেই তিনি কিছু না কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেই থাকেন। এটি প্রায় তার স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী থেকে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃতি নিয়ে ছেড়ে কথা বলেন না। আবারো নিজের অহংকারের স্পর্ধা দেখিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে কু কথা বলেছেন নোবেল।
এদিন নোবেল নিজের পোস্টে লিখেছেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তাঁর রাবীন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করা হউক। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল! বিদ্রোহী কবি; যখন আমাদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ছিলেন। রোজ রোজ ব্রিটিশদের কাছে কারাবন্দী হতেন, কনডেম সেলে টর্চারের শিকার হচ্ছিলেন, তখন বিরিটিশদের চাটুকারিতা করে সো-কল্ড বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের বাপ-দাদার রক্ত চুষে খাচ্ছিলো।”
এই পোস্টের কমেন্ট সেকশনে অনেকে সাপোর্ট করেছেন আবার অনেকে ধুয়ে দিয়েছেন গায়ককে। একজন লিখেছেন, ‘সেইতো সারেগামাপা য় গিয়ে রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীত গেয়ে আসলেন। ভালোই হিপোক্রিট’। আরেকজন কটাক্ষ করেছেন, ‘তোমারে বিশ্বকবি উপাধি দেওয়া হবে। এখন তুমি পাবনা যেতে পার।’
প্রসঙ্গত এর আগেও রবীন্দ্রনাথকে কটাক্ষ করেছিলেন এই গায়ক। তখন তিনি বলেছিলেন, “রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা না যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না! যে রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই তারে নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশের সাহিত্যে যেহেতু রবীন্দ্রনাথের অবদান নিতান্তই কম, নেই বললেই চলে, সেক্ষেত্রে তার গান এদেশের কেউ যদি প্যারোডি আকারে গায় সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক”।