গসিপ

সিনেমার পর্দার মত বাস্তবেও অভিনেত্রী অনুশ্রীর জীবনে খলনায়ক হয়ে উঠেছিলেন ভরত কল? বিচ্ছেদের পরও একসাথে একই ধারাবাহিকে অভিনয় করেন দুজন

তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই নেটিজেনদের কৌতূহলের শেষ নেই। তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনে কি ঘটছে? তারা আসলেই কেমন আছেন সেই সব জানতে মরিয়া হয়ে ওঠেন একাংশ নেটিজেনরা। সেরকমই ৯০ দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন অনুশ্রী দাস। যাকে নিয়ে একসময় দারুন মাতামাতি ছিল। তার অভিনয় দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিল খুব তাড়াতাড়ি। ১৯৯১ সালে ভবেশ কুন্ডু পরিচালিত ছবি ‘বউরানী’ -র হাত ধরেই প্রথম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন অভিনেত্রী।

এই ছবি রূপলি পর্দায় মুক্তি পাওয়ার পর দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল দর্শকমহলে। দর্শকেরা এই ছবি দারুন পছন্দ করেছিলেন। বিশেষ করে অনুশ্রীর অভিনয় মনে ধরেছিল দর্শকদের। এই ছবিতে অভিনয় করার পরেই ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় অভিনেত্রীর। এরপর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর একাধিক জনপ্রিয় হিট ছবিতে অভিনয় করেছেন অনুশ্রী। বেশ কিছু ছবিতে অনুশ্রীর বিপরীতে ভাস্কর ব্যানার্জিকে প্রায়শই দেখা যেত। ভাস্কর এবং অনুশ্রীর জুটির দর্শক মহলে বেশ জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু অভিনয় জীবনে দারুন সাফল্য পেলেও নিজের ব্যক্তিগত জীবনে নানান উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।

শোনা যায় যখন তার ক্যারিয়ার জীবন একদম মধ্য গগনে তখনোই তার জীবনে আসে প্রেম। জনপ্রিয় খলনায়ক ভরত কলের প্রেমে পড়েন অনুশ্রী। এরপর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কে থেকে অবশেষে সাত পাকে বাঁধা পড়েন দুজনে। কিন্তু সিনেমার মতো বাস্তব জীবনেও ভরত কল হয়ে ওঠে অনুশ্রী জীবনের খলনায়ক। এরপর অবশ্য এই দুই তারকা দম্পতির বিচ্ছেদ হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে একাধিক অভিনেত্রী সঙ্গে নাম জড়িয়ে ছিল ভরত কলের।

এরপর ভরত কল ইন্ডাস্ট্রির পরিচিত অভিনেত্রী জয়শ্রী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে ভরত কল, জয়শ্রী এবং অনুশ্রী তিনজনেই স্টার জলসা জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’ তে একসঙ্গে অভিনয় করছে। ধারাবাহিকে অনুশ্রী এবং জয়শ্রী দুই জা। আর এই বিষয় নিয়ে একাধিক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী অনুশ্রীকে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে তার উত্তরে অনুশ্রী বরাবর জানিয়েছেন ‘বাস্তব জীবনে একাধিক উত্থান পতন থাকলেও এর সঙ্গে পেশাগত জীবনের কোনও রূপ সমস্যা নেই।’ তবে এই টেলি অভিনেত্রীর জীবন সম্পর্কিত অজানা তথ্য সামনে আসতেই যে এক নতুন আলোচনার সূত্রপাত ঘটেছে তা বলাই যায়।

Related Articles

Back to top button