গসিপ

‘ট্রেনের জেনারেল কামরায় মাটিতে বসে আসতে হয়েছিল’, শুভশ্রীর দিদি দেবশ্রী শোনালেন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে তার স্ট্র্যাগেলের গল্প! শুভশ্রীর দিদির জীবনের লড়াই অবাক করবে আপনাকেও

জীবন বড় অদ্ভুত আর তার চাইতেও বেশি অদ্ভুত‌ জীবনের রাস্তার প্রতিটা মোড়ে লুকিয়ে থাকা অপ্রত্যাশিত ঘটনাগুলো। কখন কার জীবনে কী আসে কেউ বলতে পারেন না, প্রতিটি মেয়েরই জীবনের সুপ্ত বাসনা থাকে স্বামী-সন্তান নিয়ে সুখের সংসার করার তবে সুখের সংসার করার সেই স্বপ্ন সবসময় পূরণ হয়না। অনেকের সুখের সংসার মাঝপথে ভেঙে যায়, তখন একা একা বাকি জীবনের লড়াইটা করতে হয়। ঠিক যেমন লড়াই ছিল টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের দিদি দেবশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে। বৈবাহিক সম্পর্কে বিচ্ছেদ আসার পর সিঙ্গেল মাদার হিসেবে একাই লড়ে গিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: মাঝবয়সী অরিন্দম এখন পারফেক্ট হাজবেন্ড ম্যাটিরিয়াল! শুরুতে তুমুল সমালোচিত গোধূলি আলাপের নায়ক‌ই আদর্শ স্বামী!

একা হাতে ছেলে অনীশকে মানুষ করেছেন তিনি। তবে সন্তান মানুষ করার এই লড়াইয়ে নিজের মা, বাবা আর বোনকে পাশে পেয়েছিলেন, তার ডিভোর্সের পর যেমন তার মন ভালো করার জন্য শুভশ্রী নিজের ডেবিট কার্ড দিয়ে তাকে ঘুরে আসতে বলেছিলেন আবার টাকা-পয়সা নিয়ে কোন সমস্যার সম্মুখীন হলেও বোন পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই তারা না থাকলে দেবশ্রীর লড়াইটা আরো বেশী কঠিন হতো বলে মনে করেন দেবশ্রী। টলিপাড়ার অনান্য সিঙ্গেল মায়েদের মতো ৮ ই মে মাতৃ দিবসের দিনটি দেবশ্রী‌ও সন্তানের সাথে উদযাপন করেন। খুব ছোট বয়সে বিয়ে হয়েছিল দেবশ্রীর, ১৯ বছরে তিনি অনীশের জন্ম দেন আর ২৫ বছর বয়সে স্বামীর থেকে আলাদা হয়ে যান দেবশ্রী। ডিভোর্স হয় তাদের। এরপর তাদের মা ছেলের সংসার।

সিঙ্গেল মায়ের এই লড়াইয়ে অনেক বাধা-বিপত্তি এসেছে, আর্থিক টানাপোড়েন এর মধ্য দিয়ে গিয়েছেন, তবু লড়াই থামান নি তিনি। একবার ছেলে অনীশকে দার্জিলিং এর একটি বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি, তখন তার সে রকম আর্থিক অবস্থা ছিল না, ৩০ হাজার টাকা কম পড়েছিল সেই সময় সাহায্য করেছিলেন বোন শুভশ্রী। এই টাকা স্কুলে পৌঁছে দিতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল, তবে দেবশ্রীর সমস্যাটা বুঝে স্কুল সেইসময় তার পাশে দাঁড়িয়েছিল।

আরও পড়ুন: ‘জ্বালাইয়া চান্দের ও বাতি’ থেকে এস ডি বর্মনের গানে মঞ্চ কাপাচ্ছে নদীয়ার প্রাঞ্জল! ট্রফি জেতার সম্ভাবনার তালিকায় উঠে আসছে বাংলার ছেলের নাম

দার্জিলিং থেকে ফিরবার সময় ট্রেনের জেনারেল কামরার টিকিট কেটেছিলেন দেবশ্রী। সেইবার ট্রেনের মেঝেতে বসে ফিরতে হয়েছিল মা ছেলেকে। তবে জীবনের খারাপ সময়টা অতিক্রম করে এসেছেন অভিনেত্রী, তিনিও শুভশ্রীর মত অভিনয় জগতে পা রেখেছেন। তবে নিজের অতীত থেকে পাওয়া শিক্ষা ভোলেননি অভিনেত্রী। নিজের জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে তিনি যা শিখেছেন তাই শেখাতে চান তার ছেলেকে। ছেলে অনীশকে মা হিসেবে তিনি শিক্ষা দেন, জীবনে প্রেম আসবেই তবে যে থাকার সে থাকবে আর যে যাওয়ার সে চলে যাবে। কারোর জন্য চোখের জল ফেলা উচিত নয়। সবসময় নিজেকে সবার আগে ভালোবাসা দরকার।

Related Articles

Back to top button